ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন বিদ্যুৎ কেন্দ্র

কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুরে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড’ নামের ১১৫ মেঘাওয়াটের আরো একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। তবে এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ১১৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টটির ৯০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবে। এরপর এখান থেকে উৎপাদিত ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। যা বর্তমান সরকার ঘোষিত ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন’ কর্মসূচিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে। সে লক্ষ্যে এর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিঃ নামে এই বিদ্যুৎ প্লান্টের কাজ শুরু হয়। চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড নামের কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা হলো ১১৫ মেগাওয়াট।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর শহরের বাগাদী রোড়স্থ ইচুলীঘাট ডাকাতীয়া নদীরপাড় এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেসরকারিভাব স্থাপিত ‘চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিঃ নামে এই বিদ্যুৎ প্লান্টের কর্মযজ্ঞ পুরোদমে চলছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ব্যস্ত সময় পার করছে নির্মাণকাজের সবশেষ কর্মযজ্ঞ নিয়ে। পাওয়ার প্লান্টটির ভেতরের পরিবেশে আনা হয়েছে চমৎকার নান্দনীকতা। সবুজে শোভিত করা হচ্ছে এর বাহ্যিক সোন্দর্যকেও।

ডরিন পাওয়ার লিমিটেডের হেড অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মঞ্জুরুল নাসিম জানান, এখানে প্রায় ৬টি দেশের লোক টেকনিক্যাল কাজ করেছে। যার মধ্যে জার্মান, ফ্রান্স, চিন, শ্রীলংকা, তুরস্কের ইঞ্জিনিয়ররা ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই/আড়াইশ মানুষ কাজ করছে। এখনো প্রায় শতাধিক লোক কাজ করছে। আর এটি চালু হলে প্রতিদিন প্রায় একশত লোক কাজ করবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবো। আশা করছি ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন