পরকীয়া প্রেম : প্রবাসীর স্ত্রীর ২ বছর ও প্রেমিক পুলিশ সদস্যের দেড় বছর কারাদন্ড

শিমুল হাছান :
প্রবাসী স্বামীকে ঠকিয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রেমিক যুগলকে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে তিন সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা আইরিনকে ২ বছর ও পরকীয়া প্রেমিক বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য বিটু আলীকে দেড় বছরের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়।

চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসাইন গত ১০ আগস্ট এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত রাজিয়া সুলতানার বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাছিয়াড়া গ্রামে। একই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে কাতার প্রবাসী রিপনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর রিপন-রাজিয়ার সংসার দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তানকে নিয়ে সুখেই কাটছিলো।

প্রবাসী রিপন তার কষ্টার্জিত সকল অর্থ স্ত্রীর নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ফরিদগঞ্জ শাখায় পাঠায়। একই সঙ্গে জমি ক্রয় ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারও কিনে দেয় স্ত্রীকে। তবে স্বামীর প্রবাসে থাকার সুযোগে রাজিয়া বগুড়ায় কর্মরত পুলিশ সদস্য বিটু আলীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে রাজিয়া চম্পট দেয়। এ সময় স্বামীর বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো টাকা ও নগদ ১ কোটি ২ লাখ টাকার সঙ্গে ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে রাজিয়া সুলতানা আইরিন প্রবাসী স্বামী রিপনকে তালাক দিয়ে বিটুকে বিয়ে করে। তবে এ নিয়ে প্রবাসী রিপনের চাচা ফরিদগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী টুটুল পাটওয়ারী বাদি হয়ে রাজিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী রাজিয়া সুলতানা আইরিনকে প্রতারণার অভিযোগে ২ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড এবং পরকীয়া প্রেমিক পুলিশ সদস্য বিটু আলীকে অবৈধ পরকীয়ায় জড়ানোর অপরাধে দেড় বছরের কারদন্ড প্রদান করেন।

আদালতের রায়ের বিষয়টি বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট দুলাল মিয়া পাটওয়ারী নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট দেবাশীষ কর মধু।

শেয়ার করুন