মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের এই ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং মিথ্যা ঘটনা সাজানোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি উঠেছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রমের বড় ছেলে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপুকে প্রধান বিবাদী করে ২০জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদপুরের আমলী আদালতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন মেঘনা নদীর পাড়ে সরকারি জমিতে সম্প্রতি স্থাপিত ব্যক্তি মালিনাকাধীন মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আদালত অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে মতলব উত্তর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন : জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন, অপু চৌধুরী, আহার খালাশী, ফতেপুর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা, শাহীন চৌধুরী, সম্রাট গাজী, আজাদ খালাশী, জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান, ছাত্রলীগ নেতা তামজিদ সরকার রিয়াদ, লিখন সরকার, খোরশেদ চৌধুরী, হোসেন মেম্বার, মেহেদী হাসান কাজল, কুদ্দুস, মামুন শিকদার, আক্তার সরকার, ইউসুফ ও সুমন বেপারী।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানান, মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠিত নেতা এবং কয়েকজন নির্বাচিত জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। চাঁদপুর-২ আসনে কয়েক দফা নির্বাচিত এমপি, সাবেক মন্ত্রী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রমের নেতৃত্বে তারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী কিছু বিএনপি-জামায়াতের দোসর এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়রানী ও হেয় করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে পুরো উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থক, সুধী সমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে। তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে মামলায় উল্লেখিত কথিত ঘটনার সময় মোহনপুরস্থ সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুুরীর বাড়িতে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময়ে বিপুল সংখ্যক মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মতবিনিময় করেন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু ও তার স্ত্রী বীনা চৌধুরী। তারা দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে অবস্থান করে মহিলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনগণের সাথে একটানা কয়েক ঘন্টা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কথিত ঘটনার সময় তারা কথিত ঘটনাস্থলে ছিলেন’ই না।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)