রোগীতে ঠাসা চাঁদপুর সদর হাসপাতাল : ১২০ শয্যার করোনার ওয়ার্ডের বাইরেও রোগী

মোরশেদ আলম :
করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীতে ঠাসা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতাল। রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের তৃতীয়তলায় নতুনভাবে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হলেও কোনো শয্যা খালি নেই। শয্যার অভাবে রোগীকে ফ্লোরে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে, অক্সিজেন লেভেল ৯০ শতাংশ থাকলে বাড়িতে থেকেই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা নিলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিন যতই গড়াচ্ছে ততই চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেডের চেয়ে রোগী সংখ্যা বেশি। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনের বেড ৬০ থেকে ১২০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা অস্থির হয়ে উঠেছেন।

ক’জন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, গত ক’দিন ধরে হাসাপাতালে আসা রোগিদের ২০০/২৫০টি নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। এছাড়া রোগির সাথে আসা কিছু লোক মাক্স পড়ে না। তারা আমাদের উপর হুমরি খেয়ে পড়ে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

২৫০শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ফোকালপার্সন ও আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে। করোনার উদ্বেগজনক এমন পরিস্থিতিতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটি যারা করোনা আক্রান্ত তাদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করবে, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাবে, টিকাদান কাজে সহায়তা করবে। সার্বিকভাবে তারা করোনা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

যাদের অক্সিজেন ল্যাবেল ৯০ এর উপরের আছে তারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯’শ ৫৭জন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৫৬জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে ৫৯১৫জনকে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৮৮৮জন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন