শতভাগ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ-বান্ধব ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ-বান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস ও হলসমূহকে করোনা মোকাবেলায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউজিসি ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী শতভাগ প্রস্তুত করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শুধু ফাইনাল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির শর্ত মেনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শতভাগ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ-বান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।

কোভিড-১৯ গবেষক ও বিশেষজ্ঞ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের সহযোগী ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসের জাফর উল্লাহ বলেন, করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ও হলসমূহ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কোভিড-১৯ এর শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথেই ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা নিরাপদেই অবস্থান করছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তার নিয়োগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে ড্যাফোডিলের ডাক্তারগণ সদা নিয়োজিত রয়েছেন। মহামারির এই সময়ে ঘরে বসে থাকতে থাকতে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো হয়ে পড়েছেন মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ।

তাদের চিকিৎসার জন্যও রয়েছেন সার্বক্ষণিক মনোচিকিৎসক। ক্যাম্পাসের ভিতরেই রয়েছে মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতাল। সেখানে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধাই রাখা হয়েছে। জরুরী চিকিৎসা সেবা পেতে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশ দ্বারে রয়েছে থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নিরাপত্তাকর্মীরা থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিক তাপমাত্রা পরিমাপ করবেন এবং থার্মাল স্ক্যানারে স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রদর্শিত হলেই কেবল হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করে তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রতিটি ক্লাসরুমে সামাজিক দূরত্ব (ছয় ফুট) মেনে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

ল্যাব ক্লাসগুলোতেও রয়েছে একই ধরনের শারীরিক দূরত্ব মেনে ক্লাস করার ব্যবস্থা।বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তৈরি করছে মাস্ক। ফার্মেসী এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগ তৈরি করেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই সুলভ মূল্যে মানসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজরি ব্যবহার করতে পারছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরাও সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবাস করতে পারছেন। সেখানেও নিশ্চিত করা হয়েছে সবধরনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা। প্রতিটি কক্ষে সামাজিক দূরত্ব মেনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাইনিং রুমেও গ্রহণ করা হয়েছে একই ধরনের সামাজিক দূরত্ব মেনে খাবার গ্রহণের ব্যবস্থা।

এছাড়া রিডিং রুম, জিমনেশিয়ামসহ সর্বত্র গ্রহণ করা হয়েছে সামজিক দূরত্ব মেনে এবং মাস্ক পরিধান করে চলাচলের ব্যবস্থা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিহণের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যারয়ের নিজস্ব বাস। যাতায়াতে ব্যবহৃত বাসসমূহ প্রতিদিন একাধিকবার জীবানুমুক্ত করা হয়। আর শিক্ষার্থীরা এক সিট পর পর নিরাপদ দূরত্বে বসবে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে প্রস্তুত করা হয়েছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ-বান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে। সবুজে ঘেরা নিরাপদ এই ক্যাম্পাস দীর্ঘ সাত মাস পর আবার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে আবার মুখরিত হয়ে উঠবে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন