হাজীগঞ্জের টংগীরপাড় সড়ক যেন চাষের জমি!

জহিরুল ইসলাম জয় :
হাজীগঞ্জ উপজেলার টংগীরপাড়-হাড়িয়াইন-আড়ংবাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্বাধীনতার পর এত বছরেও সড়কটি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মনে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করতে দেখা যায়। তাদের প্রশ্ন- আর কতকাল পার হলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটিতে টানা বৃষ্টি ও বর্ষার পানি ছুই ছুই অবস্থানে রয়েছে। বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় কাচাঁ রাস্তাটি ছোট বড় গর্তে পানি জমে একাকার হয়ে রয়েছে।

রাস্তার মাটিগুলো যেন জমির চাষাবাদের মত কাদায় একাকার হয়ে আছে। বৃষ্টির পরবর্তীতে যানবাহন চলাচল দূরের কথা একজন সুস্থ সবল মানুষ চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

জানা যায়, এই সড়কটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। হাটিলা টংগীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও চেয়ারম্যান অফিসের কার্যালয়ের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম।

টংগীরপাড় থেকে হাড়িয়াইন প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক কাচাঁ রাস্তা আর তার দুই পাশে পাকা রাস্তা। যে কারণে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে এই দুই কিলোমিটার রাস্তার মাঝে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে জনপ্রতিনিধিরা একের পর এক সময় পার করলেও এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকাকরণে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন, কবির, জহির, আল-আমিন ও সিফাত জানান, এখন বর্ষার সময় তার মধ্যে টানা বৃষ্টিপাতে কাচাঁ রাস্তাটি গর্তে পেক-কাদায় নিমর্জিত হয়ে পড়েছে। রিক্সা চলাচল দূরের কথা সাধারন মানুষ পর্যন্ত হাটতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

আমরা জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি- যেন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটিতে চলাচলের জন্য অন্তত ইটের কণা ফেলে জনসাধারণের যান চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল জানান, রাস্তাটি পাকা করণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে এ রাস্তার দুর্ভোগ লাঘব হবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন