হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বড় বড় গর্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি :
হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঠিকাদারের অবহেলায় ৫-৬ মাস পূর্বে সংস্কার হওয়া সড়কের দু’পাশে প্রায় ২০-২৫ টি স্থানে চক বেঁধে ভাঙতে শুরু করেছে।

এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো হল- মহাসড়কের কাজীরগাঁও-বদরপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, পাতানিশ বাজার, ডুমুরিয়া, ঘাগড়া, আকানিয়া প্রমুখ।

রানা বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুই বছরের চুক্তিতে সড়কটি সংস্কারের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করার ৬ মাসের মধ্যেই সড়কটির এই বেহাল দশা।

স্থানীয়রা অভিযোগ মতে, রাস্তার দু’পাশে পর্যাপ্ত মাটি ও স্লাব তৈরি না করায় এমন ঘটনাটি ঘটছে। বৃষ্টির কারণে প্রতিনিয়তই সড়কের দুই পাশের নতুন মাটি সরে যাচ্ছে।

সড়কের বেশির ভাগ স্থানই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে রাতের বেলা দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। এই সড়কে কোন প্রকার সিগন্যাল নেই। অনেক সময় চালকগণও ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালায়।

কচুয়া-হাজীগঞ্জ সড়কের সিএনজি ড্রাইভারা জানান, ডিস্টিক ট্রাকগুলো চললে বেশি ভয় লাগে। সরু সড়কে যেকোন সময় ট্রাকগুলো ডেবে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে ডুমুরিয়া ও বদরপুর মোড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়কগুলো ঠিকমত সংস্কার না করলে ২-৩ মাস পরপরই এই স্থানগুলো ভেঙ্গে দুর্ঘটনার শঙ্কাও বাড়বে। সড়কটিতে জেব্রা ক্রসিং না থাকায় এবং পাশাপাশি ৩-৪টা মোড় হওয়ায় দূর্ঘটনার শঙ্কা বেশি বলে ধারণা করছেন ড্রাইভাররা।

হাজীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আতাউর রহমানের থেকে জানতে চাইলে তিনি সড়কের সমস্যাটি সমাধানে আন্তরিকতা প্রকাশ করে জানান, বৃষ্টির ফলে সড়কে ডেবে যাওয়া অংশগুলো অতিশয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যেমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, এই সড়কে প্রায় ২০-২৫টি স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। দুই বছরের চুক্তিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স সড়কটির সংস্কার কাজ করেছেন। সংস্কারের পর মাত্র ৬ মাস শেষ হলো আরো দেড় বছর বাকি রয়েছে। এই দু’বছরের মধ্যে সড়কের ক্ষয়ক্ষতির সমাধান করবে রানা বিল্ডার্স।

ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হয়ে সড়কটি মেরামত করতেছেন বলে জানা যায়। তবে সড়কটির মধ্যে আরো কিছু ফাটল রয়েছে বলে দেখা যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নতুবা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী থাকবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)