অনৈতিহাসিক….. শেখ রেহানা : দুঃখ কষ্টের জীবন তবু মাথা নোয়াবার নয়


মুহম্মদ শফিকুর রহমান :
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি। সামনে ছোট্ট লন। দুব্বা ঘাসে ভরা যেন মখমলের গালিচা বিছানো। এখানে ক্রিকেট ম্যাচ হত ভাই বোনে। ভাইয়ের হাতে থাকতো ব্যাট আর বোনের হাতে বল। বোন বল করতো ভাই ব্যাটিং। বোন বোলিং করল ভাই এমন ভাবে ব্যাট চালালো যে বল লন ছারিয়ে বাউন্ডারি ওয়ালের ওধারে চলে গেল। ভাই এমন ভাবে উল্লাস করতে থাকলো যে বোনের মনে কিছুটা হলেও কষ্টের ছাপ পড়ল। পরক্ষণেই বোন হাসতে হাসতে দৌড়ে এসে ছোট্ট ভাইটিকে জড়িয়ে ধরল। ভাইয়ের সাথে বোনও উল্লাস করতে করতে এক সময় ঘরে চলে গেল।

পাঠক এই ভাই-বোনকে আমরা সবাই চিনি। ছোট ভাইয়ের বয়স যখন ১০ চলছে আর বোনের বয়স ১৩। পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বোনটি চতুর্থ এবং ভাইটি পঞ্চম তথা সর্বকনিষ্ঠ। আর কেউ নয়। আমাদের সেই ছোট্ট ভাইটি শহীদ শেখ রাসেল আর বোনটি শেখ রেহানা। তবে সর্বময় ক্ষমতার মালিক এবং এই বিশ্ব ভ্রামান্ডের একমাত্র রক্ষা কর্তা জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শেখ রেহানাকে তুলে নেননি। বড় বোন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জার্মানি বেড়াতে গিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট-এর কয়েকদিন আগে। তাইতো দুই বোন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা আজও বেঁচে আছেন। বাবা মা ভাই ভ্রাতৃবধু সবাইকে হারিয়ে এক বুক বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছেন। শেখ রেহানাকে সরকার একটি বাড়ি দিয়েছিলেন। খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করে সেই বাড়ি কেড়ে নেয় এবং তাতে পুলিশের ধানমন্ডি থানা স্থাপন করে। নিষ্ঠুরতারও মাত্রা থাকে। মিলিটারি জিয়ার তাও ছিল না। নইলে শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করত না। কত সুন্দর এবং কি মিষ্টি চেহারা ছিল রাসেলের। একটি ছবিতে দেখেছি বঙ্গবন্ধু রাসেলকে বুকে জড়িয়ে আদর করছেন। ইতিহাসবিদ গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসর ডঃ মুনতাসির মামুন বেশ আগে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেছিলেন। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। মামুন বলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের টুকরা রাসেলকে আসুননা নিজের সন্তান মনে করি এবং তার বুক ঝাঝরা, চেহারা বুলেটের ঘা-এ বিকৃত টকটকে লাল তাজা রক্তের ওপর ভাসছে, ওর নিথর দেহটি কোলে তুলে নিতেও দিচ্ছেনা খুনির দল, একবার ভাবুনতো চিত্রকল্পটি আপনার আমার কেমন লাগবে? শেখ হাসিনা শেখ রেহানার কেমন লাগছে। এতগুলো অকাল মৃত্যুর ভার দুবোন বয়ে চলেছেন ৪৫ বছর ধরে। কেউ কেউ বাঙালি জাতিকে সিভিলাইজড মনে করে গর্ববোধ করেন। ১৫ আগস্ট ৩ নভেম্বর ২১ আগস্টের পর কোন বাঙালি কি নিজেকে সিভিলাইজড দাবি করতে পারে? পারেনা। পশ্চিমবঙ্গের একজন গায়ক নচিকেতা তার একটা গান শুনেছিলাম তাতে এক লাইন ছিল মন্ত্রী-এমপিরা সব হারামজাদা (?) জানিনা তিনি নিজেকে এবং সিভিলাইজড-এর ধ্নজাধারী লুঙ্গি ধুতি-পাঞ্জাবি বাঙ্গালীদের ওই শব্দটি বাইরে রাখলেন? যে বাঙালি বঙ্গবন্ধু মুজিবকে হত্যা করতে পারে বঙ্গমাতাকে হত্যা করতে পারে শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করতে পারে যে বাঙালি এই হত্যাকাণ্ড সমর্থন না করলেও নীরব থাকে প্রতিবাদ করেনা প্রতিশোধ নেয়না সেই বাঙালি সম্পর্কে নচিকেতার সেই শব্দটি আপনা আপনি চলে আসে। গান কবিতা শেখার দরকার পড়েনা।

আমার লেখার সিডিউল ছিল গত শুক্রবার শনিবার ছাপা হবার জন্য। কিন্তু লিখতে পারিনি। আমার বাপ চাচারা সাত ভাই বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এবং একমাত্র জীবিত ছোট চাচা গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।মহামারী করোনা তাকে কেড়ে নিল। বৃহস্পতিবারে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ বালিথুবায় নিয়ে যাই এবং সেখানে জানাজা ও দাফন শেষে গভীর রাতে ঢাকা ফিরে তাই লিখতে পারিনি।
তবে এই লিখতে না পারার কারণে একটা সুযোগ এলো। আগামী রোববার ১৩ সেপ্টেম্বর শেখ রেহানার ৬৬ তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে একটা লেখা তৈরী করার সুযোগ পেয়ে গেলাম।

জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পুরো জীবনটাই তাদের কাটছে চোখের জল ফেলতে ফেলতে। কত চেনা লোক ১৫ আগস্টের পর অচেনা হয়ে গেলেন। তবে কেউ কেউ মিলিটারি জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তাদের একজন তখন জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত ও জাতীয় সংসদের স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও তার সহধর্মিনী। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাংলাদেশের জাতির পিতার কন্যা। অথচ শেখ হাসিনার যখন বিয়ে হয় প্রখ্যাত অনুবিজ্ঞানী ডঃ এম ওয়াজেদ আলী মিয়ার সাথে তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে। শুনেছি বিয়ের অনুষ্ঠানও ছিল একেবারেই সাদামাটা এবং বিয়ের পর নবদম্পতি জেল গেটে গিয়ে বাবাকে সালাম করেন ও আশীর্বাদ নেন। কিন্তু শেখ রেহানার ভাগ্যে তাও জোটেনি। শেখ রেহানার বিয়ে ১৯৭৭ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর। বর ডক্টর শফিক সিদ্দিক। আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমানের আত্মীয়। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকতেন ১৯৭৪ সালে তাদের বিয়ের কথা হয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিয়ে দিয়ে যেতে পারেননি। ডক্টর শফিক সিদ্দিক তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সেই সুবাদে লন্ডনের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত ছিলেন।শেখ হাসিনার বিয়েতে তবুও বঙ্গবন্ধু জেলে থাকলেও অন্যরা সব অনুষ্ঠানে ছিলেন কিন্তু রেহানার বিয়েতে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেননা। ঘাতকরা সবার জীবন কেড়ে নিয়েছিলেন।একমাত্র জীবিত বড় বোন শেখ হাসিনা টিকিটের টাকা যোগাড় করতে পারেননি বলে ছোট বোনের বিয়েতে অংশ নিতে দিল্লি থেকে লন্ডন যেতে পারেননি।একইভাবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অল্প কিছুদিন হলেও নানা নানী মামা মামির আদর-যত্ন পেয়েছেন কিন্তু শেখ রেহানার সন্তান ভবি টিউলিপ ও রুপন্তী তাদের কারোরই আদর পাননি।বরং শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয় দেশে ফিরলেন বলা যায় নিজের তিন সন্তান ববি টিউলিপ ও রুপন্তির সাথে শেখ হাসিনার দুই সন্তান জয় পুতুলের দেখাশোনা ও শেখ রেহানা করতেন। শেখ হাসিনাও ছোট বোনকে কন্যার মতো স্নেহ করেন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় এবং ভারতের তৎকালীন মহীয়সী প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর আমন্ত্রণে তার আশ্রয়ে বড় বোনের সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন। সিদ্ধান্ত হল লেখাপড়া করবেন। কবিগুরুর শান্তি নিকেতনে তার ভর্তির ব্যবস্থাও হলো। কিন্তু তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজি হলেননা। তারা শেখ রেহানার নিরাপত্তা দিতে পারবেননা বলে সাফ জানিয়ে দিলেন। তখন সিদ্ধান্ত হল লন্ডন চলে যাবেন। সেখানে তাদের খোকা চাচা আছেন আছেন ফুপা জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। রয়েছেন আব্দুল গাফফার চৌধুরীসহ অনেকেই। কিন্তু দিল্লি থেকে লন্ডন যাবার প্লেন বানানো টাকা জোগাড় হবে কিভাবে। দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটছিল। এই সময়ে মিসেস গান্ধী জানতে পেরে টিকিটের টাকা পাঠিয়ে দিলেন। তিনি লন্ডনে গিয়ে তার খোকা চাচার বাসায় ওঠলেন। ১৯৭৭ সালে বিয়ের পর তাদের অর্থ কষ্ট বেড়ে যায়। একটি পরিবারের সাথে শেয়ার করে থাকতে শুরু করেন। ওই সময় একদিকে শেখ রেহানা চাকরির সন্ধান শুরু করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেন। তিনি স্যার টমাস উইলিয়ামের সাথে দেখা করলে স্যার উইলিয়াম রাজি হন এবং বাংলাদেশে আসার জন্য টিম গঠন করেন কিন্তু মিলিটারি জিয়া তাদের বাংলাদেশে আসতে দেননি। দিল্লিতে থাকাকালে শেখ হাসিনা যেমন নিজ হাতে রান্না বান্না কাপড় কাচা সবই করতেন। কারণ ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার আয়ে সংসার চালানো কষ্ট ছিল। ডঃ ওয়াজেদ মিয়াকে মিসেস গান্ধী একটা চাকরি দিয়েছিলেন বলে কিছুটা স্বস্তি ছিল।এও জানা যায় মিসেস গান্ধী বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও মিসেস গান্ধীর বিশ্বস্ত শ্রী প্রণব মুখার্জিকে। প্রণব বাবু বাংলাদেশের নড়াইলের জামাইবাবু।সেই সুবাদে মিসেস মুখার্জী সব সময় তাদের খোঁজখবর রাখতেন। শেখ রেহানা ও লন্ডনে বড় বোনের মত সব কাজ করতেন। পাশাপাশি মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নিসা মুজিবের শিক্ষা অনুযায়ী সন্তানদের মানুষ করতে লাগলেন। পাশাপাশি খুঁজতে খুঁজতে একদিন চাকরিও পেয়ে গেলেন একটি লাইব্রেরীতে। লাইব্রেরির চাকরির আগে যখন কোথাও জব পারছিলেন না তখন রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেও চেয়েছিলেন। হায়রে বাঙালি। তোদের যে মানুষটি মানুষ বানালো পাসপোর্ট দিল সেই মানুষটির কন্যা একটি অতি সাধারন চাকরির জন্য ধন্য হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরই নাম বাঙালি না নচিকেতার গানের ভাষায় সেই শব্দ। হারামজাদা শব্দটি খুব খারাপ তাই সরাসরি উচ্চারণ করছি না ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কিছু একটা বলে কাজ সারতে চাচ্ছি। কোন এক মনিষী বলেছেন মানুষকে বিশ্বাস না করা পাপ।কিন্তু আমি বলি আজকের বাংলাদেশ বরং মানুষকে বিশ্বাস করাই পাপ। এইভাবে কষ্ট এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে চলতে চলতেও দু’বোন বাঙালিকে বিশ্বাস করছেন এবং বাঙালির ভাত-কাপড় শিক্ষা চিকিৎসা উন্নয়নে দিনরাত্রি কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির নেপথ্যে যেমন বেগম মুজিব ছিলেন প্রধান পরামর্শদাতা ঠিক তেমনি শেখ রেহানাও শেখ হাসিনাকে পেছন থেকে সাহস যোগাচ্ছে।

সংসার রাজনীতি বঙ্গবন্ধুহত্যার বিচার স্যার টমাস উইলিয়মকে নিয়ে টিম গঠন। স্যার টমাস উইলিয়াম তাদের পূর্ব পরিচিতি এবং ঘনিষ্ঠ। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কৌশলী হিসেবে বহুবার ৩২ নম্বরের বাসভবনে গেছেন এবং বেগম মুজিবের সাথে মামলা সংক্রান্ত পরামর্শ করার সময় শেখ রেহেনা পাশে ছিলেন। সেই সুবাদে রেহানাকে মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন যে তার প্রচেষ্টা সফল হয়।

একটা জিনিস লক্ষনীয় বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব তাদের কন্যাদের কোন ধনাঢ্য শিল্পপতি বা আমলার সাথে বিয়ে দেননি। দিয়েছেন দুজন শিক্ষাবিদের সাথে শেখ হাসিনার স্বামী পিএইচডি করে আসা ডঃ এম.ওয়াজেদ আলী মিয়া তখন এটমিক এনার্জি তরুণ গবেষক।শেখ রেহানার স্বামীর শফিক সিদ্দিক তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক এবং বিয়ের সময় লন্ডনের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত ছিলেন। পরে পিএইচডি শেষ করে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। অর্থাৎ দুই বোনের জামাই ডক্টরেট এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী। বঙ্গবন্ধু পরিবার এখানে কালচারালি সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের সন্তানরাও সেভাবেই গড়ে ওঠেছেন:
• শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আইটি বিশেষজ্ঞ ভারতের বেঙ্গালুরু এবং আমেরিকায় আইটিতে গ্রেজুয়েট এমএস পরে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা লোকপ্রশাসনে এম এস করে।তরুণ আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্বে আড়াইশো জনের একজন এবং তার মা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আইটি অ্যাডভাইজার (অবৈতনিক)।
• শেখ হাসিনার কন্যা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে পরে অটিজমের উচ্চতর গবেষণার শেষ করেন। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের অটিজম উপদেষ্টা। একই সঙ্গে মা-এরও উপদেষ্টা (অবৈতনিক)।
• শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা (বিসিএল) গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে আসেন এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি নেন। সে চাকরিতেই আছেন।
• শেখ রেহানার বড় মেয়ে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা শেষে সেখানেই লেবার পার্টির ব্যানারে রাজনীতি শুরু করেন এবং বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হাউজ অব কমন্স এর লেবার দলীয় প্রভাবশালী সদস্য। তিনি হাউজ অব কমন্স কাঁপাচ্ছেন।
• শেখ রেহানার ছোট মেয়ে রুপন্তী লেখাপড়া করছিলেন যুক্তরাজ্য। এরইমধ্যে লেখাপড়া সমাপ্ত করার কথা।
এখানেই বঙ্গবন্ধু পরিবার সম্পূর্ণ আলাদা। বঙ্গবন্ধু নেই বঙ্গমাতা নেই কিন্তু তাদের দুই কন্যা পারিবারিক আদর্শ থেকে এতটুকু বিচ্যুত হননি। শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন-
“মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ লেখাপড়া
টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ি একদিন হারিয়ে যেতে
পারে চুরি হয়ে যেতে পারে কিন্তু শিক্ষা
হারায় না কোনদিন, চোর ডাকাত চুরিও
করতে পারেনা“

সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো এরা সবাই বিদেশে লেখাপড়া করেছে। তাও ইংরেজি ভাষায়। ইংরেজি ভাষাটা যেমন শিখেছে ইংরেজি শিক্ষিতের মত তেমনি বাংলা একটুও ভোলেননি। বরং বাংলাও বলেন শিক্ষিত বাঙালির মত। এখানেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের কালচারাল স্বকীয়তা।
সবশেষে শেখ রেহানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি#

ঢাকা – ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
লেখক – এমপি এবং সিনিয়র সাংবাদিক
সাবেক – সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব
ই-মেইল – balisshafiq@gmail.com

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)