চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে করোনার উপসর্গ ও আক্রান্তে জেলার সর্বোচ্চ মৃত্যু

জহিরুল ইসলাম জয় :
চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হাজীগঞ্জে। উপজেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫৮জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১২জন। আর করোনার উপসর্গে এ যাবৎ মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৮জন।

করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত হাজীগঞ্জে কমপক্ষে ৬০জন মারা গেছেন। যা এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও উপসর্গে জেলার সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত দেড় মাসে হাজীগঞ্জে করোনার উপসর্গে কমপক্ষে ৪৮জন ব্যক্তি মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৫জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১২জন। এর মধ্যে ৭জনের বাড়ি পৌর এলাকায়। এছাড়া হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২জন, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১জন, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ১জন এবং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ১জন মৃত শনাক্ত রয়েছেন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২জন রয়েছেন হাজীগঞ্জের। তাছাড়া সেখানে উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যাও জেলার অন্য উপজেলা থেকে বেশি।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন- হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিদ্যা সাগর বনিক (৬৫), রনজিৎ সাহা (৬২) ও আবুল কাশেম (৪৮), হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার আবুল বাশার ওরফে লেদা মিয়া (৮০) ও তার ছেলে হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল সর্দার (৫০), আলহাজ আব্দুল মান্নান (৮৫), ধেররা এলাকার আলহাজ আব্দুল লতিফ (৭৫), রাজারগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০), কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাজনাখাল-চাঁদপুর গ্রামের এনামুল হক ওরফে শাহজাহান কাজী (৫৫), সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের আব্দুল মমিন (৫৮) ও সুহিলপুর-নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মাওলানা আবু তাহের (৪০)।

এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে হাজীগঞ্জের দুইজন বাসিন্দা ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা হলেন- জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামের বাসিন্দা কালী নারায়ণ লোধ এবং একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মিথিলা (১৮)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল হাজীগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলায় ৪৮জন ব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৫জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

এর মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেরীতে (প্রায় ৫ ঘণ্টা পর) জানার কারণে ৯জন এবং প্রাথমিক তদন্তে করোনা উপসর্গ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

সংগৃহীত নমুনার মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ২৭জনের রিপোর্ট এসেছে এবং অপেক্ষমান আছে ৮জনের। এই ২৭জনের মধ্যে ১২জনের করোনা পজেটিভ এবং ১৫জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)