সুজন পোদ্দার :
অবশেষে সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে কচুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারমান শাহজাহান শিশির জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকেমুক্তি পেয়ে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসলে জেলগেটে তার ভক্ত সমর্থকরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।
গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করলে বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে তার জামিন শুনানী শেষে বিচারক পুলিশের রিপোর্ট দাখিল করা পর্যন্ত তাকে জামিনে মুক্তি দেন। তার মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবি এমকে রহমান ও ইব্রাহীম খলিল মজুমদার।
এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শাহজাহান শিশির বেরিয়ে আসার খবর কচুয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা আনন্দ উল্লাশে মেতে উঠে বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ জুলাই কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের তদারককারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাঁদপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরে আলম লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
ওই মামলায় তিনি ২০২০ সালে ২৫ আগস্ট চাঁদপুর আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। ৩ মাস ১২ দিন পর ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি লাভের দিনই (৭ ডিসেম্বর ২০২০) ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ঢাকার ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৫১২২০। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন।
২৬ অক্টোবর জামিন পেয়ে তিনি বেরিয়ে আশার মুহুর্তে জেলগেটে কোতয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা অপর একটি মামলায় (যার নং ৩৭ (৯) ২১) তাকে শোনা অ্যারেস্ট দেখিয়ে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এই মামলায় তিনি ২ মাস ২৬ দিন কারাভোগ করে বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পান।