নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজনৈতিক মামলার আসামী হিসেবে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে এসে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের জনবান্ধব চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন মাহমুদ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের রাস্তায়।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাজনৈতিক সহিংসতার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন মাহমুদ নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী দলের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নেতা-কর্মীসহ চাঁদপুর আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
আদালতে হাজিরা শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য সিএনজি উঠবে এমন সময় কোনো কিছু বুজে উঠার আগেই বেশ ক’জন যুবক দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদের উপর অর্তকিত হামলা চালালে তিনি আহত হন। তাৎক্ষণিক সাথে থাকা দলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে তিনি বড় ধরনের আঘাত থেকে কিছুটা রক্ষা পান। ঘটনার পর পরই তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। এদিকে চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদের উপর হামলার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর এক নজর দেখার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দসহ শত শত জনসাধারণ তার বাড়িতে ভিড় জমান।
খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ শফিকুজ্জান, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম কাজী জুয়েল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহাঙ্গীর খান, সহ সভাপতি আবু তাহের খোকা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সরোয়ার গাজী, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম নজু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ স্বপন মাহমুদের বাড়িতে দেখতে আসেন।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ হামলার বিষয়ে বলেন, গত ১১ নভেম্বর সমাপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করি। উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী সরকারি দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে চাঁদপুর শহর থেকে একদল যুবক গেলে তাদের সাথে একটি কেন্দ্রের সামনে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমার উপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালায়। তিনি বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি এখনো আছি। গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকবো।
তিনি আরো বলেন, আমি উক্ত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। কিন্তু এই নির্বাচনে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মডেল থানার কোন ভূমিকা দেখছি না। এই নির্বাচনের সূত্র ধরে আমাকে বিভিন্ন লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।