করোনা সংক্রমণ : তথ্যগোপন ও সামাজিক দায়

: বি এম হান্নান :
অজ্ঞাত শত্রুর সংক্রমণে দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই। কফিন সংকটে মর্গে লাশের স্তুপ। দাফন-কাফন, সৎকারে সবাই ঘলদগর্ম। কেউ বলছেন প্রকৃতির নিয়মে পৃথিবী মেরামতের কাজ চলছে, তাই মৃত্যুর মিছিলে সামিল হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ আদমসন্তান। আক্রান্ত প্রায় ৩৫ লক্ষ। পৃথিবীর ক্ষমতাধর রাষ্ট্র প্রধানগণও করোনাভাইরাসের কাছে কাবু হয়ে গেছেন। প্রাণঘাতি করোনার কাছে হেরে গিয়ে প্রকাশ্যে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছেন।

এখনো আবিস্কৃত হয়নি মরণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। ভ্যাকসিন আবিস্কারে প্রান্তাকর চেষ্টা চলছে পৃথিবীর অন্তত একশ’টি দেশে। কাল নয়, আজই এই ধরাধামে কে থাকবে, কে থাকবে না তা নিয়ে যেখানে সংশয়, সেখানে সামাজিক অবজ্ঞা, অবহেলা, লোকলজ্জা, পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশী থেকে একাকী হয়ে পড়ার ভয়ে তথ্য গোপন করছেন আক্রান্তরা। তাদের নিছক অসচেতনতা, অবহেলা, উদাসীনতায় করোনারভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধির দায় কার উপর বর্তাবে তা নিয়েও আমাদের ভাববার ফুসৎরত নেই।

কিন্তু বেঁচে থাকার সংগ্রামে একদিকে প্রাণঘাতী করোনার হাত থেকে সাধারণ্যের সংগ্রাম। অন্যদিকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রানান্তকর চেষ্টার মধ্যে যেনো কোথাও বিরাট ফাঁরাক। এ নিয়ে সফলতা, ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ হয়তো পরে হবে। কিন্তু আপাতত মনুষ্য জাতিকে রক্ষার সংগ্রামে তথ্য গোপন ও সামাজিক অবহেলা আত্মঘাতির শামিল নয় কি।
একজন শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেশের অন্যান্য জেলার চাইতে চাঁদপুরের অবস্থান নিয়ে স্বস্তির বা তৃপ্তির ডেকুর গিললেও আদৌ কী তা ধরে রাখা সম্ভব হবে। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী চাঁদপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আতংকের খবর হচ্ছে নতুন করে আক্রান্তদের অধিকাংশ সংক্রমিত হয়েছেন তাদের স্বজনদের সাহচার্যে।

চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুর মাদ্রাসা রোডে একই পরিবারের তিন ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে শহরজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশাসন ওই বাড়িটি লকডাউন করলেও শহরবাসীর অস্থিরতা ও কৌতুহল থামেনি। অনেকেই ওই বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে উঁকি মেরে দেখেছেন করোনা! দেখতে কেমন। অতি উৎসাহীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ বাড়ির ছবি দিয়ে নানান মন্তব্য ছুড়েছেন। বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করেছেন তাদেরকে বিতাড়িত করতে। যেন আক্রান্তরা ইচ্ছা করেই ওই রোগ বহন করে মহাপাপ করেছেন। অবশ্য ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টিনে তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের করোনাভাইরাস বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কষ্টের কথা ব্যক্ত করেছেন এভাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ, মাদ্রাসা রোডের যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা এখন সম্পুর্ন সুস্থ। এই ৩জন যখন পজেটিভ হয়, তখন আশে-পাশের লোকজন যে ব্যবহারটা করেছে তা’ ছিল অমানবিক। মনে হয় ওই ৩ জন নষ্টের কীট। কিছু মানুষ আমাদের ফোন করে এমন ভাষায় কথা বলেছেন যেনো তাদেরকে এলাকা থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল। যা’ ছিল লজ্জার, হতাশার, অপমানজনক। তাদের ভাবা উচিত ছিল তারাও মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) গাইড লাইন অনুযায়ী তারা বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিয়েছে।’

চাঁদপুর সদর রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান নারায়নগঞ্জ ফেরত জামাতা মোঃ ফয়সাল। তথ্য গোপন রেখে শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ হলে সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপে যান ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিকের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চাঁদপুর শহরে করোনায় মারা যান ফাতেমা বেগম (৪০)। গত শুক্রবার (১মে) রাত ৮টার দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তির দেড় ঘন্টার মাথায় মারা যান। দাফন করতে নিয়ে যাওয়ার হয় তার পিত্রালয় হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামে। সেখানে দাফন-কাফনে বাঁধসাদেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। শেষতক পুলিশের হস্তক্ষেপে ঐ নারীর দাফন সম্পন্ন হয়।

যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর গ্রামের সন্তান, তরুণ সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ঢাকায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। তার সাহচার্যে একে একে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তার স্ত্রী, তিন মাস বয়সী কন্যা, শশুর, শাশুড়ি এবং বাসার গৃহপরিচারিকা। সাংবাদিক শাহাদাত এবং তার শ্বশুর হাসপাতালে আর বাকিরা হোমকোয়ারেন্টিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সামাজিক অবহেলা ও অবজ্ঞার কালোছায়া তাদেরকে এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন নিজেদের ফ্ল্যাটের দরজা-জানালা খুলতে না পারা, পরিধেয় জামা-কাপড় বারান্দায় শুকাতে না দেওয়া। সর্বোপরি দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্য ও ঔষধ সংগ্রহে প্রতিবেশীদের বাধা-বিপত্তির ঘটনা নিয়ে দেশের একাধিক টিভি চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রচার হয়েছে। তারপরও কি আমরা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রতি সদয় হতে পেরেছি। অন্তত দূর থেকে দাঁড়িয়ে তাদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করেছি। না সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমরা তাতে ব্যর্থ হয়েছি।

সামাজিক অবজ্ঞা, অবহেলায় হয়তো কেউ কেউ তথ্য গোপন করছেন। ফলশ্রুতিতে ব্যক্তির পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র দ্রতগতিতে সংক্রমিত হয়ে পড়ছে। চাঁদপুরের স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলের নজরে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসকরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে (করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র) তাকে রেফার করলেও তিনি চাঁদপুর নতুনবাজারস্থ নিজ বাসায় চলে এসেছেন। তথ্য গোপনকারী ওই ব্যক্তির সেবা শুশ্রুষা করার কেউ না থাকায়, এগিয়ে যান তার এক ভাগ্নে। মামার সেবা করতে গিয়ে ভাগ্নে ও ভাগ্নের আরেক বন্ধু এখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। সামাজিক লোকলজ্জার ভয় অথবা সংকোচে হয়তো তিনি তথ্য গোপন করেছিলেন। কিন্তু আদৌ কি তিনি সফল হয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এখন হয়তো সম্ভব নয়।

চাঁদপুর জেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ কিংবা আক্রান্ত হওয়ার খবর গোপন করায় তাদের সাহচার্যে ইতিমধ্যে অন্তত ৬ থেকে ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহে (৫ মে ২০২০) এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমনই এক ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ঐ প্রতিবেদনে করোনা উপসর্গ বহনকারী এমন তিন ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের পরিবারের অন্তত আরো ৬জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তথ্য গোপনের কারণে শুধুমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের নিকট আত্মীয়রাই সংক্রমিত হয়নি, করোনাভাইরাসের সন্মুখযোদ্ধা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন টেকনিশিয়ান। সর্বশেষ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় দু’জন কর্মকর্তা এবং চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে একজন কর্মী বর্তমানে কভিড-১৯ এ সংক্রমিত।

দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ওঠে আসা চিত্রে দেখা গেছে, বাংলাদেশের করোনার হটস্পট হিসেবে খ্যাত নারায়নগঞ্জ থেকে স্বপরিবারে চলে আসেন মোঃ ফয়সাল। জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ থাকলেও তথ্য গোপন রেখে চাঁদপুর সদর রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতেই তিনি অবস্থান করেন। শ্বশুর বাড়িতে ১১ এপ্রিল তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টে করোনা পজেটিভ আসে। তথ্য গোপনের খেসারত হিসেবে পরবর্তীতে ফয়সালের শ্বশুর ও শালিকা করোনায় আক্রান্ত হন। শ্বশুর-শালিকার মাধ্যমে পরিবারের বাইরে অন্য কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে (করোনার প্রধানতম উপসর্গ) আক্রান্ত শারমিন আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীকে ২২ এপ্রিল দিবাগত রাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৩ এপ্রিল দুপুরে শারমিন মারা যায়। তার ক্ষেত্রেও অসুস্থতা তথা করোনার উপসর্গে ভোগার বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়নি। মৃত্যুর পর জানাগেল ওই কিশোরী করোনা আক্রান্ত ছিলেন। শারমিনের বাড়ি ফরিদগঞ্জের দক্ষিণ গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তৃতীয় শনাক্তকৃত ব্যক্তির নাম আবুল বাশার ওরফে বাসু মিয়া (৭০)। ফরিদগঞ্জের ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের এই ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান ২৭ এপ্রিল ভোর রাতে। উপসর্গ থাকা সত্তে¡ স্বাস্থ্য বিভাগকে তা জানানো হয়নি। মৃত বাসু মিয়ার পরিবারের কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্টের জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কী না।

চাঁদপুরে করোনা উপসর্গে সর্বশেষ মারা গেছেন শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড মুন্সী বাড়ির ভাড়াটিয়া ফাতেমা বেগম (৪০)। গত শুক্রবার (১ মে ২০২০) রাত ৮টার দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তির দেড় ঘন্টার মাথায় মারা যান। মৃত্যুর পর তার সংগৃহীত নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে। তিনিও প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিতে যাননি। ফাতেমা বেগমের পিত্রালয় হাজীগঞ্জের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাঘড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার তার কর্মস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঢাকার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নমুনা দিয়ে বাসায় যাওয়ার পর তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর খোরশেদ আলমের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তার পরিবারের ৩জনের করোনা পরীক্ষার টেস্টে রিপোর্ট আসে মৃত খোরশেদ আলমের এক ছেলেও করোনায় আক্রান্ত। সে বাবার লাশ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।

উল্লিখিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, করোনার উপসর্গ বহনকারীরা ইচ্ছা-অনিইচ্ছায় কিংবা জ্ঞাতসারে তথ্য গোপন করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে তাদের পরম আত্মীয় স্বজনরা প্রানঘাতি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এভাবে চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ থাকা লোকজনের তথ্য গোপনের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র না জানায় স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মীরা প্রাক প্রস্তুতি নিতে না পারায় তারাও সংক্রমণ ঝুঁকিতে। চিকিৎসকদের মতে জ্ঞাত উপসর্গের বাইরে উপসর্গহীন আক্রান্ত ব্যক্তিরা আরো বেশি ঝুঁকির কারণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনারভাইরাসে আক্রান্তদের আইসোলেশন ইউনিট, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে। কিন্তু আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক অবজ্ঞা, অবহেলা কিংবা বৈষ্যম্যের বেষ্টনী ভাংতে তেমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। অজ্ঞতার কুসংস্কারে আচ্ছন্নদের হাত থেকে রেহাই পেতে সময় ক্ষেপনের আর সুযোগ নেই। বিপদজনক ও ভয়ানক এ পরিস্থিতি থেকে সবাইকে রক্ষায় এখই কার্যকরী ভুমিকা নেয়া প্রয়োজন। করোনারভাইরাসে কিংবা উপসর্গে আক্রান্তদের তথ্যগোপন থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি তাদের প্রতি সামাজিক অবহেলা, অবজ্ঞা তথা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার ভুমিকা রাখতে হবে। আক্রান্তদের প্রতি সদয় হয়ে তাদের মনোবল বাড়াতে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও নাট্যজন
bmhannan73@gmail.com

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)