শরীফুল ইসলাম :
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে চাঁদপুর জেলার সর্বত্র বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। চাঁদপুর জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলে বসবাসকারী লোকদেরকে নিরাপদ আশ্রয় রাখার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।
ইতোমধ্যে কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। চরাঞ্চলের লোকদেরকে প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে নয়ার জন্য ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা শাহ্ মো. শোয়াইব জানান, সর্বশেষ ঢাকা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী চাঁদপুর জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১২-১৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও অমাবশ্যার কারণে উপকূলীয় জেলাসহ চাঁদপুর জেলার অদূরবর্তী চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিষয়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের সকল মসজিদে, বাজারে ও এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। সকলকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, চাঁদপুর সদরের নদী উপকূলীয় এলাকাসহ উপজেলার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রশাসনের সাথে জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রয়েছে।
অপরদিকে চাঁদপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে চাঁদপুর জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করেছেন। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, ইউএনও, পিআইও এর সাথে জেলা প্রশাসক, সকল এডিসিদের ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।