চাঁদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে বিলের মাঝে নতুন রাস্তায় পাল্টে গেলো ‌‌দুই উপজেলার জনজীবন

জহিরুল ইসলাম জয় :
পাঁচ বছর পূর্বেও যেসব মানুষ বিলে ধান চাষাবাদ ছাড়া চলাচলের চিন্তা করেনি আজ সেই বিলে এক রাস্তায় পাল্টে গেলো ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ দুই উপজেলার জনজীবন। বিলের গোয়াটের উপর প্রতিবছর ইউনিয়ন পষিদের কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত মাটি পড়ায় আস্তে আস্তে রাস্তায় পরিনত হয়। আর এতে করে পাশ্ববর্তী গ্রামের মানুষ রাস্তার দ্ইু পাশে বসতবাড়ি উঠিয়ে যেন নতুন আবাসনস্থলে পরিণত করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের উত্তর মাঠে বিলের মধ্য দিয়ে নতুন একটি রাস্তা যেন পাল্টে যায় স্থানীয়দের জনজীবন।

চলতি অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ মাটি কাটা হয় উত্তর লক্ষ্মীপুর তালদুনিয়া ইউসুফের মার্কেটের সামনে থেকে তৈলিসাইর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা। এর আগেও কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্ধে এই রাস্তায় মাটি পেলা হলেও পানি বর্ষার সময়ে পানি কাছাকাছি উঠার ফলে এবার প্রায় ১৫ ফিট পাশ নিয়ে দুই ফুট উচ্চতা করা হয়। আর এতে করে পুরোপুরি রাস্তাটি দৃশ্যমান হওয়ায় যেন অনাবিল বিলে নতুন পথের ঠিকানা খুঁজে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় কিরন, হান্নান মোল্লা, সেলিনা বেগম বলেন, আমরা এ রাস্তা হওয়ার সম্ভাবনা দেখে প্রায় ৪/৫ বছর পূর্বে এখানে ঘর-বাড়ি গড়ে তুলেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন দুলালের প্রচেষ্টায় আমরা নতুন রাস্তা পেয়ে খুব খুশি। কারন হাজীগঞ্জ সংযোগের সাথে গিয়ে রাস্তাটি শেষ হওয়ায় এখন দুই উপজেলার মানুষ চলাচলে সুবিধা হয়েছে।

স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন দুলাল বলেন, প্রথমে এ রাস্তায় বিশেষ বরাদ্ধের মাধ্যমে মাটি কাটা হয়েছে। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্ধে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিদর্শন করে কাজের মানে প্রশংসা করেছেন।

সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. শারাফতউল্ল্যা বলেন, আমার ইউনিয়নের একমাত্র বিল হিসাবে পরিচিত এই স্থানে প্রতিবছর কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্ধ দিয়ে হাজীগঞ্জ সীমানা পর্যন্ত নতুন রাস্তা গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে দ্ইু উপজেলার মানুষ সুবিধা ভোগ করছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)