নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে আরো ১২জনের করোনা শনাক্তের রিপোর্ট পেয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। এর মধ্যে করোনার উপসর্গে মৃত হাজীগঞ্জের সুশীল সাহা (৬০) ও লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মোহাম্মদ হোসেন (৬৩)ও রয়েছেন। তবে লক্ষ্মীপুরের মৃত ব্যক্তিকে চাঁদপুরের আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও তিনি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। ফলে নতুন আক্রান্ত ১১জন ও মৃত ১জন দেখানো হয়েছে সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিবেদনে।
মৃত ব্যক্তি ছাড়া আক্রান্ত অন্য ১০জনের মধ্যে ৯জন চাঁদপুর সদর উপজেলার এবং ১জন ফরিদগঞ্জের। সদরে আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য। সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, রোববার সকালে ঢাকা থেকে মোট ৫৬জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১১জন পজেটিভ। বাকী ৪৫জনের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৬৪জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৫জন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন চাঁদপুর প্রবাহকে জানান, সদরের নতুন আক্রান্তরা হলেন শহরের মমিনপাড়ার ১ যুবক (২৯), ব্যাংক কলোনীর ১ নারী (৫২), চিত্রলেখা মোড় এলাকায় করোনায় মৃত মফিজের ছেলে (৩২), খলিশাডুলী টেকনিক্যাল এলাকার ১ যুবক (৩২), নিশি বিল্ডিং এলাকার পুলিশের ১ এসআই (৩১), ওয়াপদা গেইট এলাকার পুলিশের ১ এএসআই (৫২), ওয়াপদা গেইট এলাকার ১ যুবক (৩২), মৈশাদীর ১ যুবক (২৫) এবং ঠিকানা অজ্ঞাত (মোবাইল ফোন রিসিভ করছেন না) ১জন।
চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৫৬৪জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ২১৮জন, মতলব দক্ষিণে ৭০জন, হাজীগঞ্জে ৬৪জন, শাহরাস্তিতে ৬৩জন, ফরিদগঞ্জে ৬১জন, হাইমচরে ৩৩জন, কচুয়ায় ২৮জন ও মতলব উত্তরে ২৭জন।
জেলায় মোট ৪৫জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : হাজীগঞ্জে ১৪জন, চাঁদপুর সদরে ১২জন, ফরিদগঞ্জে ৬জন, কচুয়ায় ৪জন, মতলব উত্তরে ৪জন, শাহরাস্তিতে ৩জন ও মতলব দক্ষিণে ২জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ আরো জানান, রোববার চাঁদপুর থেকে আরো ১৩৭টি নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। এ নিয়ে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭৭১টি। রিপোর্ট এসেছে ২৮৫৩টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৯১৮টি।
তিনি আরো জানান, জেলায় আক্রান্ত ৫৬৪জনের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬১জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৫৮জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২৭৬জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩৬জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ৪০জন। এছাড়া জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৫৫১৭জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৯১৫জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৬০২জন।