শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের আল-মানার হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তানভীন (২৮) নামের প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে সিজারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে।
বুধবার সকালে হাসপাতালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের দরজার গ্লাস ভাংচুর করে।
নিহত তানভীন সদর উপজেলার মহামায়া এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার মোঃ আলী জিন্নাহের স্ত্রী। ঢাকা একটি ডেইরি ফার্মে চাকুরি করেন।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকার আল-মানার হাসপাতালে প্রসব ব্যাথার কারণে তানভীনকে ভর্তি করানো হয়। পরে ডা. রোওশাবা নাসরিন (রুমু) সিজার করান। সিজার করার সময় প্রসূতি তানভীন মৃত্যুবরণ করলেও পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিছুক্ষণ পর রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ডা. রোওশাবা নাসরিন (রুমু) হাসপাতাল ত্যাগ করে।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময় রোগীর স্বজনদের সাথে বৈঠকে বসে ৫ লাখ টাকা রফাদফা করে দাফনের জন্য প্রসূতিকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। একপর্যায়ে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের দরজার গ্লাস ভাংচুর করে। এর পূর্বেও এই হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
মৃতের স্বামী মোঃ আলী জিন্নাহ কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ‘সিজারের পর আমার বাচ্চাকে বেডে রেখে চিকিৎসক ও নার্স সবাই পালিয়ে গেছে। আমার সন্তানরা মা হারা হয়ে গেল রে’।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ডা. রোওশাবা নাসরিন রুমুর মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।