নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ারেন্টভুক্ত মামলার আসামী মো. হোসাইন বেপারীকে (৩২) গ্রেফতার করতে গিয়ে তার স্ত্রীসহ বাড়ির লোকজনের হামলায় পুলিশসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনায় জড়িত নারী-পুরুষসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে গ্রেফতার ৪ আসামীকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- সদর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের শাহজাহান বেপারী বাড়ির শাহাদাত খান (৫৫), মো. খালেক বেপারী (৫০), শিউলি বেগম (৩৪) ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হোসাইনের স্ত্রী শারমিন বেগম (২৪)। আহতরা হলেন- থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কফিল উদ্দিন, কনস্টেবল প্রাণ ভল্লব ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সার চালক শফিউল্লাহ বেপারী।
চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে শ্রীরামপুর বেপারী বাড়িতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হোসাইন বেপারীকে গ্রেফতার করতে যায় এএসআই কফিল উদ্দিন ও কনস্টেবল প্রাণ ভল্লব। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামী শিউলী ও শারমিন চিৎকার করে ও আসামী ধরতে বাধা প্রদান করে। যার কারণে আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীসহ আরো বেশ কয়েকজন পুলিশের ওপর হামলার করে গুরুতর আহত করেন।
এ ঘটনায় বুধবার (৩ মে) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকরামুল হক বাদী হয়ে ১৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০পিস ইটের ও ৪টি কাঠের টুকরো, ৩টি লোহার রড, এসএস পাইপ ১টি, লোহার দা একটি, সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাঙা গ্লাসের টুকরো জব্দ করেন পুলিশ।
চাঁদপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সাবেক ইউপি সদস্য হোসাইন বেপারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।