শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকায় নিহত অন্তঃস্বত্তা নারী নাসরিনের বাড়ির লোকজনকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নয়ন বাদী হয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রেহানা বেগম ও জাহাঙ্গীরকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। যার নং ৬।
চাঁদপুর পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব শর্মা জানান, সম্পত্তিগত বিরোধ ছিল অন্তঃস্বত্তা নারীর মা বিউটি বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী রেহানা বেগমের। পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করেই বিউটিকে হয়রানী করার মূল উদ্দেশ্য ছিল রেহানার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর হোসেন ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করে। তবে রেহানা বেগম পলাতক রয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার ভোরে জাহাঙ্গীরকে ঢাকা সূত্রাপুর থেকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ওচমানিয়া কামিল মাদ্রাসা এলাকায় সম্পত্তিগত বিরোধে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও পুলিশি অভিযানের আতঙ্কে নাসরিন (১৯) নামে অন্ত:স্বত্তা নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) রাতে মাদ্রাসা রোড মধ্য শ্রীরামদী এলাকার মাদ্রাসার লিজকৃত সম্পত্তিতে বসবাসকারী বিউটি বেগমের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নাসরিন দিনমজুর মো. শরীফ গাজীর স্ত্রী। এক বছর পূর্বে তাদের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
নাসরিনের নানী পেয়ারা বেগম জানান, পাশবর্তী আবুলের মেয়ে রেহানা, রাশিদা, শাহীনুর, জাহাঙ্গীর ও আলমগীর পরিবারের সাথে আমার মেয়ে বিউটির সম্পত্তিগত বিরোধ আছে। পূর্বের এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মেয়ের পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য মাদক (৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট) একটি প্যাকেটে রেখে যায়। পুলিশ জানতে পেরে আমাদের ঘরে এসে আমার সামনে থেকেই ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে। কিন্তু আমাদের সাথে কোন কথা না বলেই চলে যায়। ওই সময় অন্য কক্ষে আমার নাতনি নাসরিন প্রসব বেদনা অবস্থায় ছিল।