চাঁদপুরে একদিনে রেকর্ড ৭১জনের করোনা শনাক্ত : মৃত শনাক্ত ৪জন
রহিম বাদশা :
চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণের পর একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৭১জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে শুক্রবার। এর মধ্যে ৪জন মৃত। তবে এসব নমুনা কয়েকদিনে সংগ্রহ করা হয়েছিল। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জেলার সব ক’টি উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, চিকিৎসাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার চাঁদপুরে মোট রিপোর্ট এসেছে ২৭৪টি। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ ৭১টি (মতলব আইসিডিডিআরবি’র ১টিসহ)। আরো ৩টি পজেটিভ রিপোর্ট পূর্বে আক্রান্তদের। বাকী ২০০টি রিপোর্ট নেগেটিভ। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ৪জন মৃত। মৃতদের মধ্যে চাঁদপুর সদরের ২জন ও হাজীগঞ্জের ২জন রয়েছেন।
নতুন আক্রান্ত ৭১ মধ্যে রয়েছেন- চাঁদপুর সদরের ২০জন (মৃত ২জনসহ), হাজীগঞ্জের ১৭জন (মৃত ২জনসহ), শাহরাস্তির ১১জন, মতলব দক্ষিণের ৭জন, হাইমচরের ৫জন, কচুয়ার ৪জন, ফরিদগঞ্জের ৪জন ও মতলব উত্তরের ৩জন। নতুন শনাক্তসহ জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৬৪জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ২৯জন।
চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৩৬৪জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৫৭জন, ফরিদগঞ্জে ৪৮জন, হাজীগঞ্জে ৪২জন, শাহরাস্তিতে ৩৪জন, মতলব দক্ষিণে ৩০জন, কচুয়ায় ২২জন, মতলব উত্তরে ১৬জন ও হাইমচরে ১৫জন।
এছাড়া জেলায় মোট ২৯জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১০জন, হাজীগঞ্জে ৫জন, কচুয়ায় ৪জন, ফরিদগঞ্জে ৪জন, শাহরাস্তিতে ৩জন, মতলব উত্তরে ২জন ও মতলব দক্ষিণে ১জন।।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন শনাক্তকৃত ২০জনের মধ্যে রয়েছেন উত্তর মৈশাদী এলাকার মৃত টেলু বকাউল (৩৫) ও রামপুরের বড়সুন্দর এলাকার মাহবুবুল হক (৬৫)ও রয়েছেন। অন্যরা হলেন- পুলিশ লাইন্সের ৪জন, বাবুরহাটের ৩জন, কোড়ালিয়ার ২জন, পুরানবাজারের ২জন, পালপাড়ার ২জন, মাদ্রাসা রোডের ১জন, ওয়াপদা গেইটের ১জন, বাগাদী নানুপুরের ১জন, সদর হাসপাতালে নমুনা দেওয়া ২জন।
সূত্র আরো জানায়, চাঁদপুর সদর উপজেলায় মোট শনাক্তকৃত ১৫৭জনের মধ্যে ১৪৩জন চাঁদপুর শহরের। ইউনিয়ন পর্যায়ের ১৪জন হলেন- রামপুরের ৫জন, মৈশাদীর ৩জন, লক্ষ্মীপুরের ৩জন, চান্দ্রার ১জন, বাগাদীর ১জন ও বালিয়ার ১জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, শুক্রবার চাঁদপুর থেকে আরো ৫৮টি নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। এ নিয়ে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭৮৫টি। রিপোর্ট এসেছে ২৩৯৬টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৩৮৯টি।
তিনি আরো জানান, জেলায় আক্রান্ত ৩৬৪জনের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৬জন। চিকিৎসাধীন আছেন ২৬০জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১৬৭জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫০জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ১৭জন। এছাড়া জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৪৭০৯জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬৫১জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০৩৪জন।