চাঁদপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে ৩ পুলিশকে অবরুদ্ধের চেষ্টা : আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর শহরতলীর খলিশাডুলীতে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অধীনস্থ নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ২ এএসআই ও ১ কনস্টেবলকে লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা অবরুদ্ধের বিষয়টি জানালেও পুলিশ জানিয়েছে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে আসামী ও তার স্বজনরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আল আমীন গাজীর (পিতা নুরুল ইসলাম গাজী) বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট জারি করে বিজ্ঞ আদালত। ওয়ারেন্ট পরোয়ানা নিয়ে তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ২জন এএসআই যথাক্রমে হালিম ও মিজান এবং ১জন কনস্টেবল রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় আসামী আল আমীন গাজীর বাড়িতে যায়। এরপর উল্লেখিত আসামীকে তার ঘরে পেয়ে ওয়ারেন্টের কাগজ দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

এ সময় ধৃত আসামী পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ধৃত আসামীর মা সুফিয়া বেগম, মুনিরা বেগম, আসামীর স্বজন রাজীব গাজী, রোকেয়া বেগম ও লাকী বেগম পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে চারদিক থেকে লোকজন এসে পুলিশকে লাঞ্চিত ও অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন পুলিশ সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় অবরুদ্ধ ৩ পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন মডেল থানা পুলিশকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়। পরে ঘটনাস্থলে মডেল থানার একদল পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে এবং ঘটনাস্হল থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আল আমীন গাজীসহ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরো ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো- আরিফ গাজী, কাঞ্চন গাজী, সজিব গাজী ।

এদিকে স্হানীয়রা জানান, মূলত পুলিশ সিভিল পোশাকে (সাদা পোশাকে) ঘটনাস্হলে আসায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ পোশাক পরিহিত থাকলে এমনটি হতো না বলে স্থানীয়দের ধারণা।

এ বিষয়ে নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাসুদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী তার বসতঘরে অবস্থান করছেন এই মর্মে সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোশাকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে গেলে অধিকাংশ সময় আসামী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ জন্য অনেক সময় পুলিশ পোশাকবিহীন যেতে হয়।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হারুনুর রশীদের সাথে রাত সাড়ে ৮টায় কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে এখনো পুলিশ রয়েছে। তল্লাশী চলছে, ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশি কাজে বাধা প্রদানের বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আল আমীন গাজীর বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। সে শহরের শীর্ষ একজন মাদক ব্যবসায়ী বলে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন