নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শুক্রবার নতুন ৩৫জন করোনা রোগী শনাক্তের ফলে জেলায় এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত বেড়ে হয়েছে ১১০জন। অন্যদিকে গত দু’দিনে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ১জন, উপসর্গে ২জনসহ জেলায় মোট ৪জনের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহানারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছেন। তিনি বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। নমুনা পরীক্ষার পর ওইদিনই তার করোনা শনাক্ত হয়। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের আদর্শ মুসিলমপাড়ার বাসিন্দা মোঃ মিজান (৫৫) করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা গেছেন। গত ৮ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর অবস্থা গুরুতর দেখে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দু’জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মৃত দু’জনের মধ্যে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। অন্যজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। এ নিয়ে গত ৫ দিনে চাঁদপুরে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১১জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের পাইকাস্তা গ্রামের মেরিনা (২৮) বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে মারা যান। আগের দিন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি হাসপাতালে আসেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। অন্যদিকে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার আঃ বারেক (৬৫) বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে করোনা নেগেটিভ।
সিভিল সার্জন অফিসের হিসেব অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তসহ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০০৫জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১০জন। সুস্থ হয়েছেন ৩২৭০জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৬২৫জন। আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১৪জন। বাকীরা হোম আইসোলেশনে আছেন।