মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে এর ভয়াবহতা আরো বাড়বে : তত্ত্বাবধায়ক
কবির হোসেন মিজি :
আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ৩৭জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭জন, সন্দেহজনক করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২০জন।
জানা যায়, চাঁদপুরে নতুন করে আবারো করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। শুরু থেকে এবারের দ্বিতীয় ধাপেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শত শত স্যাম্পল জমা দিচ্ছেন রোগীরা এবং শনাক্ত হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮জনের নমুনায় ৩১জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে গত এক বছরে চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১২৮জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯২জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো দুই শতাধিক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরেই করোনায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হাবিব-উল-করিম জানান, বর্তমানে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬০টি বেডের মধ্যে ৩৭জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জন রোগী করোনা পজেটিভ। আর বাকি ২০জন সন্দেহজনকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান দ্বিতীয় ধাপে চাঁদপুরে করোনার ভয়াবহতা অনেক বেশি। এখনই যদি জনসচেতনতা বৃদ্ধি না পায় তাহলে এর ভয়াবহতা আরো বেশী বাড়তে থাকবে। এর জন্য জনসাধারণকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলা সহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা প্রতিরোধে নিজে মাস্ক পরিধান করুন এবং অন্যকেও নিরাপদে রাখুন, জনসাধারণের প্রতি এমনটাই আহ্বান এই তত্ত্বাবধায়কের।
চাঁদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, দেশে করোনা আক্রান্ত অতিঝুঁকিপূর্ণ ২৯টি জেলার মধ্যে চাঁদপুর অন্যতম। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া হাসপাতালে ভর্তির পর মারা গেছেন এক নারী।
চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার ২০ ভাগ। তিনি আরো জানান, গত ২৮ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এখন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি আছেন ৩৭জন। অন্যরা নিজেদের বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে গত সোমবার দুপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর সদরের সিলন্দিয়া গ্রামের রহিমা বেগম (৬৫) এই হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।