শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুরে ট্রলার ডুবিতে ৫ জন নিহতের ঘটনায় বাল্কহেডের সুকানী ও মালিকসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় কাউছার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১/৫১।
মামলার আসামীরা হলেন : ইকবাল হোসেন-১ বাল্কহেড এর সুকানী বাহার, মালিক ইকবাল হোসেন, শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস, দিদার। এদের মধ্যে সুকানী বাহার ও মালিক ইকবাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। আর শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস, দিদারকে ঘটনার পরপর চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ বাল্কহেড থেকে আটক করেন।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাল্কহেড ও ট্রলার সংর্ঘষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। আসামী ৬জনের মধ্যে ৪জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী ২জন পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৭টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রাম এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহি বাল্কহেডের ধাক্কায় মাটিবাহী অপর একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১জন শ্রমিকের মধ্যে ৬জন সাঁতরে পাড়ে উঠে পারলেও ৫জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শ্রমিকরা হলো- কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার বহরা গ্রামের মোবারক হোসেন, একই এলাকার মাদবপুর গ্রামের আল আমিন, তিতাস থানার ধুলারাসপুর এলাকার চাঁনপুর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন, ট্রলারের মাঝি মুরাদনগর থানার রঘুনাথপুরের মো. আউয়াল ও কুমিল্লা তিতাস থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম কালা।