শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুরে কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের ঝাঁঝ দু’দিনের ব্যবধানে ট্রিপল সেঞ্চুরী পার করেছে। তবে বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো ক্রেতাদের থেকে দাম নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
যদিও দু’দিন আগে কাঁচা মরিচ ছিলো ১৪০ টাকা। আর সেই কাঁচা মরিচ দুদিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ এই করোনাকালীন সময়ে পড়েছেন বিপাকে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানী কম হওয়ায় হঠাৎ করেই বেড়েছে দাম। এতে তাদের কিছুই করার নেই বলে জানান।
গতকাল চাঁদপুর শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচা তরকারির আড়ত পালবাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগত সকল ক্রেতার মুখে কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ নিয়েই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আড়তগুলোতেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। তাই বাধ্যহয়েই খুচরা বিক্রেতারা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া শহরের বিপণীবাগ বাজারে গিয়েও দেখা যায়, তারা ৩২০ থেকে সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি করছেন।
বিপণীবাগ বাজারে গেলে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোনো ইস্যু ছাড়া হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এতো দাম বাড়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেক কষ্ট হয়। কেননা এটা নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি। তাই সরকারের এদিকে নজর দেয়া উচিত।
পালবাজারে বাজার করতে আসা শামীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, বাজারে এসে কাঁচা মরিচের দাম শুনে হতাশ। ভেবেছিলাম ১ কেজি কিনবো। কিন্তু বেশি দামের কারণে ২৫০ গ্রাম কিনতে হয়েছে।
হঠাৎ দাম বাড়া প্রসঙ্গে পালবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ইব্রাহিম জানান, আমরা আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতেছি তাই বিক্রিও করি বেশি দামে। তবে সোমবার হঠাৎ করেই ১৪০/১৫০ টাকার কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা হয়ে যায়। তাই আমাদেরও বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াতে হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পালবাজারের আড়তদার মক্কা ট্রেডার্সের মালিক বাদশা ভূইঁয়া বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে কাঁচা মরিচের দাম বেশি থাকে। পরে ইন্ডিয়া থেকে মরিচ এলে দাম কমে যায়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে ইন্ডিয়া থেকে মরিচ কম আসায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেক আড়তদার আজমীর ট্রেডার্সের মালিক মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে দেশে যে পরিমান উৎপাদন হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এ জন্য আমাদেরকে এলসির উপর নির্ভর করতে হয়। তাই আমদানী কম হওয়ায় এ বছর কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।