কবির হোসেন মিজি :
সারাদেশের সাথে চাঁদপুরেও করোনাকালে লকডাউন স্থিতিশীল করে রোজাদারদের কথা বিবেচনা করে দোকানপাট ও শপিংমল বিকেল ৫টার পরিবর্তে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও তা চলছে অনির্দিষ্ট সময়ে। অনেক ব্যবসায়ী মানছে না সে নিয়ম। প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রত্যেকটি দোকানপাট ও শপিংমলগুলো রাত ৯টার পরও খোলা রাখা হচ্ছে। কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই সেগুলো ১১-১২টা পর্যন্ত চলছে নিয়মিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের প্রত্যেকটি শপিংমল ও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এবং ফুটপাতে থাকা দোকানপাটগুলো রাত ৯টার পরেও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখা হচ্ছে। আর এসব দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার কারণে অনেক ক্রেতারা স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে সেখানে ভিড় বা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
গত তিন রাত দশটার পর থেকে চাঁদপুর শহরের মীর শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, হাকিম প্লাজা, মদিনা মার্কেট, সাউথ প্লাজা, নুর ম্যানশন, নতুন বাজার, পুরানবাজার, বিপণীবাগ, বাসস্ট্যান্ডসহ শহরের দোকানপাট ও শপিংমল গুলো রাত ৯/ ১০টার পরেও খোলা রাখতে দেখা গেছে।
এর আগে সরকার কঠোর লকডাউনের মধ্যে ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন সাত ঘণ্টা করে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার কথা ঘোষণা দেন। কিন্তু রমজান মাস হওয়ায় রোজদারদের কথা মাথায় রেখে বিকেল ৫টার পরিবর্তে রাত ৯টা পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার সাথে চাঁদপুরের বিভিন্ন শপিং মল ও দোকানপাটগুলোর কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন একটু নজরদারি দিলেই সকল ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনার প্রতি গুরুত্ব দিবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।