নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল আশাব্যঞ্জক। উপস্থিতি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আশঙ্কা থাকলেও কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল শতভাগ। জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে এ দিন শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
রোববার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত প্রতিটি বিদ্যাপীঠ। যদিও এ দিন সব শ্রেণির ক্লাশ হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর বন্ধু-সহপাঠীদের পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ছিল। এদিন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল, বই ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নিয়েছে শিক্ষকরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষার্থীদের ক্লাসে প্রবেশ করতে হয়েছে।
বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী সালমা আক্তার বলেন, এতদিন স্কুলে আসতে পারে কি যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবে না। সে জানায়, লকডাউনে তার কিছু সহপাঠীর বিয়ে হয়ে গেছে। যদিও এর মধ্যে কেউ কেউ কলেজে এসেছে। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সাইফুল আলম বলেন, এতদিন পর কলেজে এসে মনে হলো প্রাণ ফিরে পেয়েছি।
শাহ আলম নামের এক অবিভাবক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে, এর জন্য আমরা অনেক খুশি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এখন নিয়মিত ক্লাস হলে সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও কমবে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই স্বাস্থ্যবিধি জোরালো ভাবে নেওয়া হয়েছে। কোন অভিভাবকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
বাবুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন বলেন, আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম তা মিথ্যা হয়েছে। আজ প্রথম দিনে উপস্থিতি সন্তোষজনক। আগের মতোই শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল। প্রথম দিনে গড়ে ৭০ ভাগেরও বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, একাদশ শ্রেণিতে আজ আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল শতভাগ। এটা যে কত ভালো লাগার বিষয় তা বলে বুঝাতে পারবো না। একাদশ ও দ্বাদশ শেণীর রাজু ভবনের ১২টি কক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনা হবে। প্রতিটি ফ্লরে ওয়াশব্লক ২টিসহ পানির ফিল্টার, হ্যান্ডওয়াশ, সেনিটািইজার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।