নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলাসহ গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তার বক্তব্যে বলেন, দেশের অন্যসব জেলার চেয়ে চাঁদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। এখানে বড় ধরনের কোন সহিংসতা নেই। তবে মাদক কিছুটা বেড়েছে। রেলপথে মাদক আসে। এ ক্ষেত্রে রেল পুলিশকে আরো বেশি সচেষ্ট থাকতে হবে। নজরদারী জোরদার করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অভিযান চালাবেন। কোন ছাড় দিবেন না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরগুলো প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের সহযোগিতা নিন। আমরা প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে সহজে জামিন পেয়ে যায়। এ বিষয়ে আইজীবীরা ভূমিকা রাখতে পারেন। আপনারা আদালতে বিষয়গুলো বলবেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় তার বক্তব্যে বলেন, মাদক ভয়াবহ মরণ ছোবল। এ বিষয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমাদের আইজিপি মহোদয়ও কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে একটি সমস্যা এখনো রয়ে গেছে, তা হলো আমরা মাদক বিক্রেতাদের আটক করে জেলে দেই, আর তারা একদিন পরেই জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। ২০ মামলার আসামীও জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাদক ব্যবসায় লাভ বেশি হওয়ায় মাদক বিক্রেতারা এর লোভ ছাড়তে পারে না। তবে এদেশে কারা মাদক আনে সেটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। চাঁদপুরে মাদকের যারা গডফাদার তাদের তালিকা হচ্ছে। সেই গডফাদার বড় বড় ব্যক্তিরা থাকতে পারেন। তাদের ধরা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। পুলিশের কোন সদস্য যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সকলকে মিলে কাজ করতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস বিরোধী সমাজ গড়ে তুলতে সবাইকে সহযোগীতা করতে হবে। চাঁমপুর বাসস্টেশনে মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যার ফলে কিছু দিন আগে একজন চালকের নিহতের ঘটনায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছিলো। এ বিষয়ে দুই পক্ষকে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। চাঁদপুরে অজ্ঞান বা স্প্রে-পার্টি নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া মাদক চলতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও ব্যর্থতা রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ব্যর্থতা রয়েছে। মাদকের সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দিবেন না। সে আমাদেন দলের হলেও। চাঁদপুরে রাজনীতিক হানাহানি নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া। এটিকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।