শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহের অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর এমন নকলের ঘটনা ঘটেছে মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষা অতিবাহিত করছিলেন তারা। শেষ রক্ষা আর হয়নি তাদের। শেষে ধরা পড়লো সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার হাতে। সাথে সাথে বহিষ্কৃত হয় ওই ৫ পরীক্ষার্থী। এটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় ঘটেছে।
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ পরীক্ষার্থী হলো- ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন। এদের মধ্যে মশিউর রহমান বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আর বাকি চারজন মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো পরীক্ষা নকল করে দিয়ে আসছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্ট ফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ ম্যাসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদেরকে ওই মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদেরকে নকল সরবরাহ করতো।
সহকারী কমিশনার তাসনিম আক্তার জানান, হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাইরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদেরকে ম্যাসেঞ্জারে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো। এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে। গোপন সূত্রে এমন একটি চাঞ্চল্যকর নকলের খবর পাওয়া যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১নং কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে।