চাঁদপুরে শ্বশুর বাড়িতে জামাইকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়ন দোঘর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে জামাই বেড়াতে গেলে শ্বশুরের বিরুদ্ধে জামাইকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দোঘর গ্রামের হাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জানায়, গত দুই বছর আগে দোঘর গ্রামের হাজী বাড়ির মো. শফিকুল ইসলামের মেয়ে খালিজা আক্তারের সাথে একই উপজেলার সখিপুর উকাউল বাড়ির আলী আশ্রাফের ছেলে সোহেল রানার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের পরবর্তীতে সোহেল রানা ও খাদিজা আক্তার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টুকিটাকি ঝগড়া হতো কিছুদিন আগে ঈদুল আযহা উপলক্ষে খাদিজা আক্তার তার বাবা বাড়িতে বেড়াতে আসলে গত সোমবারে তার স্বামী মোঃ সোহেল রানা তাকে নিতে আসলে তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। মারামারি বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

সোহেল রানা জানায়, আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি পার্শ্ববর্তী গ্রামে দোঘর হাজী বাড়িতে মোঃ শফিকুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা আক্তারকে দুই বছর আগে সামাজিকভাবে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সুখ-শান্তিতে ঘর সংসার করে আসছি আমার একটি ছোট মাসুম শিশু আছে।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে গত সোমবার আমাকে শ্বশুর দাওয়াত দিলে আমি আমার স্ত্রীকে আনতে গেলে তারা পরিকল্পতভাবে আমাকে মারধর করার জন্য প্রস্তুতি থাকে আমি শশুর সফিকুল ইসলামকে আমি স্ত্রীকে বাড়ি নেওয়ার কথা বললে আমার শ্বশুর মোঃ শফিকুল ইসলাম, শালা আরিফুল ইসলাম, তার সম্পর্কে কাকা মোখলেছুর রহমান, তাদের পাশে বাড়ির ব্যবসায় হাবিব উল্যাহসহ ১০ থেকে ১২জন এসে আমার মাকে আটকে রেখে আমাকে এলোপাথারিভাবে মারধর করে তাদের বাড়ির পাশে রাস্তা ফেলে দিয়ে আমার সাথে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, আমার মায়ের গলার ১ ভরি স্বর্ণ চেইন, লুটপাট করে নিয়ে যায়।

আমি স্থানীদের সহযোগিতা না পেয়ে ত্রিপল নাইনে ফোন দিলে কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আমাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করান। এমনকি আমার শ্বশুর পরিবারের লোকজন আমার মাকে ঘরে বন্দী রেখে নির্যাতন করেছেন, আমার বাবা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করতে গেলে আমার বাবাকে খুব মারধর করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমরা তাদেরকে মারধর করিনি। আমার মেয়ের জামাই অভিনয় করে আমাদেরকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির পায়তারা চেষ্টা করছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)