শাওন পাটওয়ারী :
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। নির্বাচনীয় প্রতীকও বরাদ্দ হয়েছে। প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমে গেছেন প্রার্থীরা। তবে আগের মতো প্রচারণা নেই এবার। প্রার্থীরা এখনো দলীয় শীর্ষ নেতাদের পেছনে সময় দিচ্ছেন বেশি।
গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলা এলজিইডি অফিস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সময় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ মুকবুল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী এ এস এম রাশেদুর রহমান ও কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী আবু বকর সিদ্দীক।
১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে মোট ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিকে বর্তমান চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান শামীম, (হাতপাখা) প্রতিক অজিউল্লাহ সরকার, স্বতন্ত্র খোরশেদ আলম (আনারস) প্রতিক পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য ২৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সংরক্ষিত সদস্য (৪,৫ ৬) রহিমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
২নং আশিকাটি ইউনিয়ন থেকে মোট ৪৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, (হাতপাখা) প্রতিক মো. মাসুদ গাজী, স্বতন্ত্র দেলওয়ার হোসেন খান (চশমা) প্রতিক পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য ৩৬জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৫জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে সংরক্ষিত সদস্য (৭,৮,৯) পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় আয়শা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন থেকে মোট ৫১জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিক মাসুদুর রহমান নান্টু, (হাতপাখা) প্রতিক মো. শাহ জামাল গাজী, স্বতন্ত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম (আনারস) প্রতিক, স্বপন মাহমুদ (টেলিফোন) প্রতিক পেয়েছেন।। সাধারণ সদস্য ৩৭জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১০জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
৫নং রামুপুর ইউনিয়ন থেকে মোট ৪৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১জন। তারা হলেন : ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় (নৌকা) প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সদস্য ৩৫জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৮জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন থেকে মোট ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩জন। তারা হলেন- (নৌকা) প্রতিক মো. নুরুল ইসলাম, (হাতপাখা) প্রতিক আজহারুল ইসলাম, স্বতন্ত্র আবু জাফর মোঃ সালেহ (আনারস) প্রতিক পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য ৩৪জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৮জনের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৭নং ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী না থাকায় মোঃ রাশেদ আহম্মদ ঢালী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন থেকে মোট ২৮জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী ১জন। ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় (নৌকা) প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৯জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৮জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাধারণ সদস্য ১নং ওয়ার্ড আরশ্বাদ মোল্লা, ২নং ওয়ার্ড হাচানাত হাজী, ৪নং ওয়ার্ড সোবহান গাজী ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
৮নং বাগাদী ইউনিয়ন থেকে মোট ৪৫জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিক বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, (হাতপাখা) প্রতিক মো. নেয়ামত উল্লাহ, স্বতন্ত্র (চশমা) প্রতিক মো. বরকত উল্ল্যাহ খান, (আনারস) প্রতিক মানিক মিয়া, জাকের পার্টির মুনসুর বেপারী (গোলাপ ফুল) প্রতিক পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য ৩৫জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৫জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে একাধিক প্রার্থী না থাকায় সংরক্ষিত আসনে (১,২,৩) পারুল আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
৯নং বালিয়া ইউনিয়ন থেকে মোট ৩৭জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিক রফিক উল্যাহ মাস্টার, (হাতপাখা) প্রতিক মো. নুরুদ্দিন খান, স্বতন্ত্র (টেলিফোন) প্রতিক হাফিজুর রহমান, (আনারস) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তফাদার, (মটর সাইকেল) মোঃ কামরুল হাসান খান, (চশমা) প্রতীক গাজী মোঃ মাসুদ রায়হান, বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (টেবিল ফ্যান) পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৯জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১১জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন থেকে মোট ৪৮জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিকের বর্তমান চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী, (হাতপাখা) প্রতিক মাও. মো. মজিবুর রহমান মিয়াজী, স্বতন্ত্র (ঘোড়া) প্রতিক মুকবুল, আব্দুর রহমান বেপারী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য ৩৫জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৯জনের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।
১৩নং হানারচর ইউনিয়ন থেকে মোট ৩২জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। তারা হলেন : (নৌকা) প্রতিক মো. মুকবুল হোসেন মিয়াজী, (হাতপাখা) প্রতিক মো. মনির হোসেন, স্বতন্ত্র মোজাম্মেল হোসেন গাজী আনারস প্রতীক। সাধারণ সদস্য ২৩জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৬জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য গোলাম আলী মিজি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।