নিজস্ব প্রতিবেদক :
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার দায়ে মতলব উত্তর উপজেলার ১৯জন আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের আটজন, সুলতানাবাদ ইউনিয়নের চারজন, বাগানবাড়ি ইউনিয়নের তিনজন, সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের একজন, ষাটনল ইউনিয়নের একজন ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের একজন ও একলাশপুর ইউনিয়নে একজন রয়েছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব ও সদস্য লিয়াকত আলী।
ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম নবী বাদল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক, ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাজাহান, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মনির পাটোয়ারী ও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি মজিদ বেপারী (মধু)।
বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোতাহার হোসেন বাচ্চু, ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জুবাইর আজম পাঠান স্বপন। ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান। ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল হোসেন গাজী। একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম লিমন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ৪৭ ধারার (ঠ) উপ ধারা মোতাবেক উল্লিখিত সবাইকে দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এমতাবস্থায় তারা এখন থেকে আর কোনো দলীয় পদ পদবীর পরিচয় দিতে পারবেন না।
জানতে চাইলে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, বহিষ্কৃতরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।