নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ অক্টোবর থেকে একটানা ২২ দিন চাঁদপুরের নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এই সময়ে চাঁদপুরের নদীতে বালি উত্তোলনে নিয়োজিত ড্রেজার ও ব্যক্তিগত স্পিডবোট চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া উল্লেখিত সময়ে নদীতে আটককৃত জেলে নৌকা এবার নিলামে বিক্রি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ইলিশ রক্ষা সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মসজিলশ আরো বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এবারও আমরা কঠোর থাকবো। যে কোন মূল্যেই হোক এই অভিযান সফল করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে নদী পাড়ের জেলে, জনপ্রতিনিধি, সচেতন মানুষকে তৎপর থাকতে হবে। আমরা চাইবো না গরীব জেলেদের আটক করতে। কিন্তু তারা কথা না শুলনে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো। অভয়াশ্রম চলাকালে আমাদের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সপ্তাহে দু’বার কম্বাইন্ড টিম অভিযান করবে। রাতের বেলায় বেশি মাছ শিকার হয়। তাই রাত্রি বেলার জন্যে একটি স্পেশাল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে যেন তারা অভিযান করে। সড়ক পথেও একাধিক চেকপোস্ট থাকবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, অভিযান চলাকালে একটি নৌকাও নদীতে নামতে পারবে না। অধিক গতি বা একের অধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো রিকুইজিশন করে রাখা হবে। সেগুলো নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা পুলিশ ব্যবহার করবে। আর এ বছর আটক নৌকা সাথে সাথে নিলামে বিক্রি করে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, হাইমচরে ২২ দিন যাতে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ স্থায়ীভাবে থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং করতে হবে। ডুবোচর কেটে ফেলতে হবে। অভয়াশ্রমের ২২ দিন ড্রেজার বন্ধ থাকবে। নদীত ব্যক্তি মালিকানাধীন স্পিডবোট বন্ধ থাকবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নৌ-পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, হাইমচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, মৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী, শাহআলম মল্লিক প্রমুখ।