নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও বাজারে ৪ নৈশ প্রহরীর হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রাত্রী স্বর্ণ শিল্পালয়, পলি স্বর্ণ শিল্পলায়, প্রিতম স্বর্ণ শিল্পালয়, লোকনাথ স্বর্ণ শিল্পালয় নামের ৪টি স্বর্ণের দোকান এবং নূর উদ্দিনের মোবাইল দোকানসহ মোট ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভোর ৪টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া। এর আগেই ডাকাতরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বাজারে উত্তর ও পশ্চিমে প্রতিদিন রাতেই নৈশ প্রহরীরা দায়িত্ব পালন করেন। ডাকাতি হওয়া সবগুলো প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু ডাকাতদল বাজারের পশ্চিম পাশে থাকা ৪জন নৈশ প্রহরীর হাত-পা বেঁধে ডাকাতি করে। তারা ৪ স্বর্ণের দোকানের তালা ও সাঁটারের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের ধারণা ডাকাতদের লুট করে নিয়ে যাওয়া মালামালের মূল্য আনুমানিক অর্ধ কোটি টাকা।
স্থানীয়রা আরো জানায়, পলি স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক নিত্য গোপাল দাস, রাত্রী স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক লক্ষ্মী কান্ত দাস ও প্রিতম স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক প্রদিপ চন্দ্র দাসের দোকানে ডাকাতির পরিমান কম হয়েছে। তারা কথা বললেও লোকনাথ স্বর্ণ শিল্পলায়ের মালিক রিংকু বণিক পুলিশ এবং স্থানীয় কারো সাথেই কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ডাকাতির সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এর আগে আমাদের টহল পার্টি ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন থেকে জানতে পারি বাজারের উত্তর পাশে থাকা নৈশ প্রহরী জানেনই না ডাকাতি হয়েছে। পশ্চিম পাশে থাকা ৪জনকে হাত-পা বেঁধে এই ঘটনা ঘটায়। ৪টি স্বর্ণের দোকান ও একটি মোবাইল দোকানে ডাকাতি হয়। এর মধ্যে লোকন স্বর্ণ শিল্পালয়ে সম্ভবত বেশি পরিমান জিনিসপত্র ডাকাতি হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, এই বিষয়ে লোকনাথ শিল্পালয়ের মালিক রিংকু আমাদেরকে তথ্য দিতে রাজি হননি। তিনি কোন কথাই বলেননি। আমি পরামর্শ দিয়েছি থানায় এসে মামলা করার জন্য। আমরা ডাকাতি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করে দেয়ার চেষ্টা করব। মোবাইল দোকানের দু’টি স্মার্ট ফোনের আইএমই নম্বর পাওয়া গেছে। সেগুলো উদ্ধারে চেষ্টা করা হবে।
এদিকে ডাকাতির সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত।