চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের উয়ারুক ফিলিং স্টেশনে কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

জহিরুল ইসলাম জয় :
চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক স্টেশন সংলগ্নে কাজী ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী হাসান আখন্দ (২৩) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে তার মুখ-মন্ডল ও মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় সড়ক থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসান আখন্দকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাজী ফিলিং স্টেশনের কর্তৃপক্ষ বলছেন, হাসান আখন্দ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। হাসান আখন্দের পরিবারের দাবী তাকে শত্রুতার বশত হত্যা করা হয়েছে।

সিসি ক্যামেরা নেই কাজী ফিলিং স্টেশনে। তবে সিসি ক্যামেরার লাগানোর কাজ চলছে। ঘটনার প্রসঙ্গে ম্যানেজার কাজী মনির বলেন, রাতে হঠাৎ বাসায় কলিংবেল ছাপে এবং চিৎকার করে তারপর খুলে দেখি পুলিশ। তখন তারা বলেন, আপনাদের একজন স্টাফ রাস্তার উপরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এসে দেখি রক্তাক্ত হাসান আখন্দের দেহ রাস্তায় পড়ে আছে। তিনি দাবী করছেন, হাসান আখন্দের কাছে প্রায় তৈল বিক্রিত প্রায় ৯ হাজার টাকা ছিল।

ফিলিং স্টেশনের মালিক ইকবাল হোসেন জানান, হাসান তাদের ফিলিং স্টেশন কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সে কাজ শেষে স্টেশনের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল।

কাজী ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী মো. শাহপরান বলেন, তার ডিউটি তিনটায়। কাজী ফিলিং স্টেশনের দোতালায় ঘুমিয়ে ছিল। হাসানের পরের শিফটে তার ডিউটি। খবর শুনে এসে দেখি এই অবস্থা।

হাসান আখন্দের খালা তাছলিমা বলেন, এটা সড়ক দুর্ঘটনা না। রাত্রে মেরে রাস্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।

আফসার নামের হাসানের প্রতিবেশী দাবী করছেন, এটাকে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে না, এটা সাজানো। হাসানকে কেউ মেরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।

হাসানের মামতো ভাই মো. জামাল হোসেন বলেন, হাসানের কাছে থাকা বেশ কিছু টাকা ও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি।

উপ-পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, রাতে দায়িত্ব পালনকালে বিপরীত থেকে আসা একজন পথচারী মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে অবহিত করে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেন, হাসান আখন্দের মৃতদেহ থানায় আনা হয়েছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন