চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলাই করোনার রেড জোনে!

চাঁদপুর প্রবাহ প্রতিবেদন :
দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলা এবং এ জেলার সকল উপজেলাকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ কথা জানানোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে। আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শনিবার (৬ জুন) সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় চট্টগ্রাম বিভাগে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি।

চাঁদপুরের ৮টি উপজেলার সব ক’টি রেড জোনের আওতায় দেখানো হয়েছে। তবে চাঁদপুরে গত ৯ এপ্রিল থেকেই লকডাউন চলমান রয়েছে। সরকারি সাধারণ ছুটি শেষ হলেও লকডাউন বহাল রয়েছে বলে ইতিমধ্যে চাঁদপুর প্রবাহকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক। যদিও তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী যানবাহন, দোকানপাট, অফিস’সহ অনেক কিছুই লডকাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

জানা যায়, বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা সংক্রমণমুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করা হবে। গ্রিন জোনে সতর্কতা এবং ইয়েলো জোনে সংক্রমণ যেন আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ থাকলেও রেড জোনে করোনার বিশেষ গাইডলাইন অনুযায়ী কঠোর হবে পুলিশ।

তবে চাঁদপুরে এখনো (রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত) এ ব্যাপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা পায়নি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তারা এখনো এ সংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশ পাননি। সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ রোববার রাতে চাঁদপুর প্রবাহকে বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন বা নির্দেশনা পাইনি।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)