শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুরে মুজিব শতবর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে এ দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এদেশের জনগণ জানে যে কি পরিমান উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। উন্নয়নের নতুন দিগন্ত শুরু হয়েছে। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, কোন কিছু এককভাবে করার সুযোগ নেই। সমন্বিতভাবে সব কিছু করা হচ্ছে। যখন থেকে আশ্রয় প্রকল্প তৈরি হয়, তখন থেকেই বিভিন্ন নির্দেশনা থাকে। যারা কিনবে তারা যেন সচেতন থাকে। কারণ এটা আইনত নয়। এসব বাড়ি হস্তান্তর যোগ্য নয় বলেও রেজিস্ট্রিতে লেখা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অপরাধ প্রবনতার জন্যে গ্রাম পুলিশের ব্যবস্থা রয়েছে। তারা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সোর্স। যাদেরকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের জীবন সুন্দর করতে আরো অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চাঁদপুর জেলাকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলবো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অসীম চন্দ্র বণিকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত ও গোলাম কিবরিয়া জিবন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সহ-সভাপতি সোহেল রুশদী, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল-ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা যুবায়ের।
এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলামসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
শনিবার সকালে সারাদেশে একযোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলায় ১১৫টি ঘর প্রদান করা হবে। তারমধ্যে চাঁদপুর সদরে ৪০টি, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২৫টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৫টি, কচুয়া উপজেলায় ১৫টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ৫টি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ও হাইমচর উপজেলায় ২০টি ঘরের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।