শরীফুল ইসলাম :
১০ দফা দাবিতে চাঁদপুরে চলছে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। এর ফলে সারা দেশের সঙ্গে শনিবার রাত ১২টার পর থেকে চাঁদপুরের লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ আছে।
এদিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সাধারণ যাত্রীরা সকাল থেকে ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেক যাত্রী ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বিকল্প পথে গন্তব্যে ফিরেছেন।
সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন ও দুর্ঘটনারজনিত মৃত্যু ক্ষতিপূর ১০ লাখ টাকাসহ ১০ দফা দাবিতে মূলত শ্রমিকদের এই কর্মবিরতি। তবে সমস্যা সমাধান করে দ্রæত লঞ্চ চলাচল চালুর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী ইদ্রিস আহমেদ ও কবির খান বলেন, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বার বার লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে, তার দায়ভারও যাত্রীদের নিতে হয়েছে। এখন লঞ্চ শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে বিরোধ চলছে তার দায়ভার কি আমাদের নিতে হবে। আমরা দূর-দূরান্ত থেকে লঞ্চঘাটে এসেছ, এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। আমরা যে দুর্ভোগকে পড়েছি তার দায়ভার নিবে কে। আশা করি সরকার ও মালিক তাদের দাবি দাওয়া পুরন করে দ্রæত লঞ্চ চলাচল শুরু করবে।
লঞ্চশ্রমিক আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের যে দাবিদাওয়ার ছিল, ২০২২ সাল চলে যাচ্ছে কিন্তু মালিকপক্ষ ও শ্রম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ভোর থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। কোনরূপ সিদ্ধান্ত হলে হয়তো লঞ্চ চলাচল পুনরায় চালু হবে।