নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর নৌ-থানায় প্রবেশ করে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ৭জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে জনৈক স্বপন ফরাজীর ( ৩২) উপর হামলার সময় তিনি দৌঁড়ে প্রাণ বাঁচাতে চাঁদপুর নৌ-থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে এসে আশ্রয় নেয়। এ সময় কোড়ালিয়া রোডের পলাশ হোসেন (৩২), তাজমির মোল্লা (২৮), রাব্বি পাটোয়ারী (৩০) ও আল আমিন (৩২) সহ আরো কয়েকজন নৌ-থানায় প্রবেশ করে স্বপন ফরাজীকে মারধর করার চেষ্টা করে।
ডিউটি অফিসারের কক্ষের সামনে দায়িত্ব পালনকারী কনস্টেবল ইউনুছ আলী বাধা দিলে তাকে ও পলাশ গং মারধর করে আহত করে। পুলিশ সদস্য ইউনুছ আলীর ডাক চিৎকার দিলে নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম, এএসআই আলী আকবর বাবুল, রিপন প্রধান, কনস্টেবল শরীফ উল্যাহ, অফিসার ইনচার্জের সহকারী রাকিবসহ নৌ-থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম তাদেরকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করলে পলাশ হোসেন গং আরো ক্ষপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে অফিসার ইনচার্জের সহকারী রাকিবকে কিল-ঘুষি মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে দেয়। অফিসার ইনচার্জের সাথে রূঢ় আচরণ করে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেন বলে মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়।
তখন অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশে পলাশ হোসেন (৩২), তাজমির মোল্লা (২৮), রাব্বি পাটোয়ারী (৩০), আল আমিন (৩২) কে আটক করা হয়। আল আমিন নামে এক সন্ত্রাসী যুবক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই এএসআই আলী আকবর বাবুল বাদী হয়ে পেনাল কোড ১৪১/৩২৩/৩৩২/৩৫৩/১৮৯/৩৪ ধারায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের নৌ-পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, নৌ-থানায় হামলার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৩জনকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, চাঁদপুর নৌ-থানায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকেও আটক করা হবে।