চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটের দু’টি ফেরি বিকল, পণ্যবাহী ট্রাকের জট

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথের দু’টি ফেরি বিকল হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘাটে ট্রাকের জট তৈরি হয়েছে। দুই-তিন দিন অপেক্ষা করে ফেরিতে সিরিয়াল না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ছয়টি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করে। গত রোববার থেকে দুটি ফেরি বিকল হয়ে যায়। মেরামত করতে ওই দুটি ফেরি চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিসির ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়।

এখন চারটি ফেরি চলাচল করছে। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের নরসিংহপুর থেকে চাঁদপুরের হরিণা ঘাটে যেতে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। একেকটি ফেরিতে ৮ থেকে ১০টি গাড়ি পারাপার করা হয়। একেকটি ফেরি ২৪ ঘণ্টায় ৬টি আপ-ডাউন ট্রিপ দিতে পারে।

ওই নৌপথ পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সঙ্গে দেশের ২১ জেলার যানবাহন যাতায়াত করে। ঈদ উপলক্ষে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার থেকে দুটি ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় নৌপথের দুই ঘাটে ট্রাকযট সৃষ্টি হয়েছে। নৌ-পথের ভেদরগঞ্জের নরসিংহপুর ও চাঁদপুরের হরিণা ঘাটে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্ধর থেকে কাঁচা হলুদ বোঝাই করে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ট্রাকচালক আবু বকর সিদ্দিক। মঙ্গলবার থেকে তিনি নরসিংহপুর ফেরিঘাটে অপেক্ষা করছেন। ফেরির সংকট থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তিনি ফেরিতে উঠতে পারেননি।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তিন দিন হয়ে গেছে ঘাটে অপেক্ষা করছি, ফেরির সিরিয়াল পাচ্ছি না। রোদের মধ্যে কাঁচা হলুদ রাখা নিরাপদ নয়। কিন্তু ফেরির সমস্যার কারণে বিপদে পড়েছি। এ কারণে আমি ও আমার কোম্পানি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ইজারাদার জিতু মিয়া ব্যাপারী বলেন, ঘাটে দ্রুতগতির ও বড় দুটি ফেরি ছিল। দুই মাস আগে ওই ফেরি দু’টি অন্য ঘাটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা অনুরোধ করছিলাম ফেরি দু’টি এ ঘাটে রাখার জন্য। এখন আরও দুটি ফেরি বিকল। অন্য সময় ৩৫০ হতে ৪০০ গাড়ি পারাপার হতে পারত। আর এখন ২০০ হতে ২৫০ ট্রাক পারাপার হতে পারছে।

বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল মোমেন বলেন, দুটি ফেরির যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দেওয়ায় তা ডকইয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই তা ঠিক হয়ে যাবে। ফেরিস্বল্পতায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি, ঈদের আগেই তা সমাধান হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)