নিজস্ব প্রতিবেদক :
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা, চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের কৃতী সন্তান সাইফুল ইসলাম শাহীন পাটওয়ারী আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জন্যে একটি ‘হাই ফ্লো অক্সিজেন নজেল কেনোলা’ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রদান করছেন। সহসাই এটি হাসপাতালে সংযোজন হবে।
শাহীন পাটওয়ারী জানান, আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় অভিভাবক মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তার বড়ভাই ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু ভাইয়ের সাথে কথা বলে তাদের অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার জন্ম জেলা চাঁদপুরবাসীর চিকিৎসা সেবায় সামান্য এ অবদানটুকু রাখতে পেরে নিজেকে ধন্য এবং গর্বিত মনে করছি।
এটির অর্ডারও দিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। এখন হাতে আসলেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এটি স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং তাঁর ভাই ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু ভাইয়ের নিজস্ব অর্থায়নে চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট সংযোজন হচ্ছে এর সাথে হাই ফ্লো অক্সিজেন নজেল কেনোলা সংযোজন হওয়ার খবরটি সত্যিই খুবই আনন্দের।
এর দ্বারা এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান অনেক দূর এগিয়ে গেলো। তিনি আরো জানান, এখন নরমাল সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে ঘণ্টায় ৫/৬ লিটারের বেশি অক্সিজেন দেয়া যায় না। আর হাই ফ্লো অক্সিজেন দ্বারা ঘণ্টায় ৭০ লিটার অক্সিজেন দেয়া যাবে। এসব সংযোজন হলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটে আর কোনো মানুষ মারা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে সাইফুল ইসলাম শাহীন এই প্রতিবেদকের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। তিনি তখনই বলেছেন, আমি দীপু আপা এবং টিপু ভাইয়ের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি এ প্রতিবেদককে সুখবরটি জানালেন।
তিনি আরো জানান, আমি কিছুদিন আগে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্যে একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদকের ফেসবুক আইডিতে দেয়া একটি পোস্ট আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। তখনই আমি এ বিষয়ে কিছু একটা করবো বলে মনে মনে চিন্তা করি। এজন্যে আমি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।