কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুর-হরিণা-লক্ষ্মীপুর সড়কে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের থেকে বৃষ্টিতে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক জুড়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে এবং কাদাপানিতে যানবাহন চলাচল করায় সেখানে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়। যার কারনে সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। এতে করে প্রতিদিন পথচারী, বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
চাঁদপুর-হরিনা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে প্রতিদিনই হাজারো ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি স্কুটারসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। জলাবদ্ধতায় সড়কটির বেহাল দশা হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানায়, এই সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি পড়ে যাওয়ার উদ্ধারকারী রেকার এনে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় এলাকার জুবায়ের হোসেন রাজু আহমেদ ইমাম গাজী জহির হোসেন গাজী সহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ করে বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সড়কটি মেরামত না করার এবং পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারণে দিন, দিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।
তারা জানান, চান্দ্রা চৌরাস্তা এই সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থেকে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী নিজের অর্থায়নে ইটভাটা থেকে ইট এনে সেখানে ফেলে গর্ত গুলো কিছুটা মেরামত করেন। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে আবারো সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী সানজিদা শাহনাজ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন। তার নির্দেশে সড়ক ও জনপদের সড়কের ১৫০ ফুড প্লাস্টিকের পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী ফোন করে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি অবহিত করলে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক সড়ক ও জনপদের রাস্তায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য তড়িতগতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া ওই এলাকার সড়কের পাশে একটি সরকারি খাল রয়েছে সেখানে মানুষ দখল করে দোকান পাট নির্মাণ করার কারণে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে সরকারি ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করিয়ে সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধার করে সেখানে ড্রেনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দেব। মানুষের কষ্ট নিরসন করার লক্ষ্যে সেখানে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।