ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ড্যাফোডিল পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, চাঁদপুরের কৃতি সন্তান ড. মো. সবুর খান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (এইউএপি) মতো মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক এ সংগঠনের মাধ্যমে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫,৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম নতুন মাত্রা লাভ করবে।
এর আগে তিনি এইউএপি’র প্রথম সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নভেম্বর ১৪-১৬ ২০২২ তিন দিনব্যাপি ঢাকায় ১৫তম আন্তর্জাতিক সাধারণ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সভাপতি হিসাবে শপথ নেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
১৮০টি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত এইউএপি এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫,৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বিশ্বের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর অন্যতম। ড. মো. সবুর খান আনুষ্ঠানিকভাবে দুইবছরের মেয়াদে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োাজিত এইউএপি-এর ১৫তম সাধারণ সম্মেলনে ৩০টি দেশের ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ড. মো. সবুর খান তথ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষায় ১৯৯০ দেশকে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ড্যাফোডিল গ্রæপের অধীনে বর্তমানে বাংলাদেশ, মালয়শিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরো ৫৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বাংলাদেশে আগত এইউএপি-এর অতিথিদের স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা কীভাবে মহামারীর সময়ে মিশ্র শিক্ষার বিকাশ ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কথা বলেন। এছাড়া ড. মো. সবুর খানকে তার নতুন সভাপতিত্ব অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ড. মো. সবুর খানের এই নির্বাচন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকেও সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নেন, যা আমরা অর্জন করেছি, এবং এখন আমাদের লক্ষ্য ৫ম শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যা আমাদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে এবং আগামী দশ বছরের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাবে।
এইউএপি-এর সাবেক সভাপতি ড. পিটারপি. লরেল এইউএপি-এর সদস্যদের সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং মহামারি পরবর্তী উচ্চ শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। পরে কার্যনির্বাহী কমিটির নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এইউএপির সাধারণ সম্পাদক এবংএইউএপি-এর বোর্ড এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। এরপর নব-নির্বাচিত সভাপতি ড. মো. সবুর খানকে আনুষ্ঠানিক পতাকা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় সাবেক সভাপতি ড. পিটারপি. লরেল।
ড. মো. সবুর খান এইউএপি-এর কার্যকরী উদ্যোগ, সদস্যপদ এবং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন, এবং পরবর্তী স্তরে শিক্ষার্থীদের উন্নতি এবং শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দৃষ্টিপাত করবেন বলে জানিয়েছেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।