দিপু চৌধুরীকে স্বাগত জানিয়ে মতলব উত্তরে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরীর ঈদপরবর্তী মতলব উত্তরে আগমনকে কেন্দ্র করে মতলব উত্তর উপজেলায় বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শুক্রবার উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে বিকেল ৩টার সময় মতলব উত্তর উপজেলার শ্রীরায়েরচর ব্রিজ মোড়ে গিয়ে উপস্থিত হন প্রিয় নেতা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুকে বরণ করার জন্য। ঢাকা থেকে বিকেল ৪টার সময় সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু মতলবের শ্রীরায়েরচর ব্রিজে এসে উপস্থিত হন।

এ সময় তারুণ্যের অহংকার দিপু চৌধুরীর আগম শুভেচ্ছার স্বাগত। ‘মতলবের মাটি, মায়া ভাইয়ের ঘাঁটি, মতলবের মাটি দিপু চৌধুরীর ঘাঁটি’ শ্লোগানে শ্লোগানে নেতাকর্মীরা মুখরিত করে তোলে শ্রীরায়েরচর ব্রিজ। এরপর প্রিয় নেতাকে মতলবের শ্রীরায়েরচর ব্রিজ থেকে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে উপজেলার মোহনপুর নিয়ে আসেন।

মোহনপুরে এসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজেদুল হোসেন দিপু সমস্ত নেতা-কর্মীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃকজ্ঞতা জানান। এসময় উৎফুল্ল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে সারা দেশে উন্নয়নের বন্যা বইছে। অথচ আমাদের এই মতলবে সাড়ে তিন বছরে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নাই। আমার বাবা আধুনক মতলবের রুপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য দুই বারের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম তার সময়ে মতলবে যে উন্নয়ন করে গেছেন সেখানেই রয়েছে উন্নয়ন। আধুনিক থেকে আরো আধুনিক কিভাবে এই মতলবের উন্নয়ন করা যায় সে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো ইনশাল্লাহ।

দিপু চৌধুরী আরও বলেন, তিনি আমরা আ’লীগের কর্মী। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর্দশকে বুকে লালন করি। বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং শেখ হাসিনার নেতৃতে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা আ’লীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠনের দাড় করাতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আছেন বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, গভীর সমুৃদ্রবন্দর সহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য দুই বারের সাবেক সফল মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম বলেন, এই মতলবের আ’লীগের নেতা-কর্মীরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছেন। ধৈর্যধারণকারীকে আল্লাহ অনেক পচ্ছন্দ করেন। এ ধৈর্য্যরে ফল আপনারা পাবেন। সাড়ে তিন বছরে আ’লীগের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক মামলা হামলা ও অত্যাচর নির্যাতন হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আ’লীগের নেতা-কর্মীকে দিশেহারা করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্বান্ত নিবেন। যোগ্য ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে কর্মীবান্ধব এমন নেতাকেই অঅগামী নির্বাচনে প্রার্থী দিবেন।

এ সময় মতলব উত্তর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, মতলব উত্তর উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি গাজী মুক্তার হোসেন, ফতেপুর পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তÍুতি কমিটির সদস্য আজমল হোসেন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউপির চেয়ারম্যান আঃ ছোবহান সরকার সুভা, যুবলীগ নেতা হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাফিজুল তপাদার, ছেংগারচর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, আ’লীগ নেতা বোরহান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির খান, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, ছেংগারচর পৌর কৃষক লীগের সভাপতি আঃ কাদির প্রধান, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো. খোকন প্রধান, উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা মো. শামীম প্রধান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সদস্য রুবেল মিয়া বাবু, মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাহিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)