নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে চাঁদপুরের মোস্তফা ও মাইনুদ্দিনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতদের মধ্যে চাঁদপুরের ২জন রয়েছেন। তারা হলেন চাঁদপুর শহরের জিটি রোড এলাকার মোস্তফা কামাল (৩৪) ও ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের শিশু মো. মাইনুদ্দিন (১২)।

এর মধ্যে মোস্তফা কামাল (৩৪) শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মোস্তফা কামাল চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের জিটি রোডের গণি মিজি বাড়ির আবদুল করিম মিজির বড় ছেলে।

মৃত্যুর পর তার মা-বাবা, সহোদর দু’ভাই ও স্ত্রী লুবনা আক্তারের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মোস্তফা কামাল নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় টিটু স্যার নামে সকলের পরিচিত ছিলেন। গত বছর সে বিয়ে করেছে। তার শ্বশুর বাড়ি কোড়ালিয়ার নতুন রাস্তা এলাকায়। সে তার পরিবারের আয়ের প্রধান অবলম্বন ছিল।

অন্যদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের তরজিরান্তি গ্রামের মহসিন খানের ছেলে মো. মাইনুদ্দিন (১২) নারায়ণগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ২ ভাই, ১ বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন ছিল সবার ছোট।

৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) এশার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে। নামাজ পড়ারত অবস্থায় ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মাইনুদ্দিনসহ ৩৪জন ভয়াবহ বিস্ফোরনের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হয়।

পরিবারের লোকজন জানান, মাইনুদ্দিন তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে থাকতো। তার বাবা নারায়ণগঞ্জে কাঁচামালের ব্যবসায়ী ও মা গার্মেন্টসের শ্রমিক। ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজরত অবস্থায় এসি বিস্ফোরনে মাইনুদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শনিবার সকালে ইন্তেকাল করেন। ওইদিন রাত ১১টায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)