নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিনিয়র সচিব থেকে এবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। সংসদ সদস্য না হওয়ায় টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রীপরিষদে যুক্ত হচ্ছেন তিনি। আগামী রোববার বিকেলে তিনি বঙ্গবভনে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁকে শপথ পড়াবেন। তিনি নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে চাঁদপুর। এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সেখানে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান চাঁদপুরের কচুয়ার কৃতি সন্তান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
মন্ত্রিসভার রুটিন পরিবর্তন হিসেবে সাবেক এই সিনিয়র কর্মকর্তাকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করার কারণে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ড. শামসুল আলম জানান, ‘আমাকে শপথ নেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। রোববার বিকেলে শপথ হবে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।’ শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দায়িত্ব বণ্টন করবেন বলে জানান তিনি।
ড. শামসুল আলম সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে টানা এক যুগ সদস্য এবং সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে সদস্য হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০১৪ সালে সিনিয়র সদস্য বা সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এত দীর্ঘসময় পরিকল্পনা কমিশনের এ দায়িত্বে পালন করেন।
এই দীর্ঘ সময়ে সরকারের তিনটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও দুটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তাঁর হাত ধরেই প্রণীত হয়। এ ছাড়া ১০০ বছর মেয়াদি ডেলটা প্ল্যানও তাঁর হাতেই তৈরি। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাগ্রি বিজনেস ও মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। গেল ৩০ জুন তিনি টানা ১২ বছর দায়িত্ব শেষে অবসরে যান।
শামসুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ এক যুগ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন বলে আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে আবারও নতুন দায়িত্ব দিতে চেয়েছেন বলে আমি ধন্য হয়েছি।’
তিনি জানান, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি পরিকল্পনা করবেন সামনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কী করবেন। তবে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দিকনির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই তিনি কাজ করবেন।
অধ্যাপক ড. শামসুল আলম যুক্তরাজ্য থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্বের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেন। তাঁর জন্ম ১৯৫১ সালে, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম ইসলামাবাদ গ্রামে।