সুজন পোদ্দার :
চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রেমিকের গলায় ছুরিকাঘাত করে প্রেমিকা বিষপান করে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকেলে কচুয়া উপজেলার আটমোড় গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার চাংপুর গ্রামের মৃত মোস্তাক মিয়ার ছেলে সোহাগ প্রধান আটমোড় জামে মসজিদের পুকুরে গোসল করতে যায়। তাকে দেখে ওই গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে সানজিদা আক্তার মিতু পুকুর ঘাটে ছুটে এসে সোহাগের সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মিতু ছুরি নিয়ে সোহাগের গলায় ছুরিকাঘাত করে।
সোহাগের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সোহাগকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার সংকটাপন্ন হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে ঘটনার এক পর্যায়ে মিতু বিষপান করে। বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে পারিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় সানজিদা আক্তার মিতুকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সানজিদা আক্তার উপজেলার বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার মা লাকি বেগম ও বাবা মনির হোসেন সোহাগের সাথে তাদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। এদিকে সোহাগ প্রধানের পরিবারের পক্ষ থেকে তিনজনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সানজিদা আক্তার মিতুর পরিবারের পক্ষ থেকেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের কারণে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সানজিদা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোহাগ আটমোড় গ্রামের একটি হোটেলে দীর্ঘদিন যাবৎ কারিগর হিসেবে কাজ করতো। তাই সোহাগ আটমোড় গ্রামে থাকতো। মিতু ও সোহাগের প্রেম সম্পর্কে জড়িত হওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বেশ গুঞ্জন চলছিল।