নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফার বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক কর্মশালার আয়োজন করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি। শনিবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের তৃতীয়তলায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কতটা আপোসহীন এটার কোন সীমারেখা নেই। যুগে যুগে নেতা এসেছে, আসবে, তবে তারেক জিয়ার মতো নেতা আর এদেশে আসবে না। তারেক জিয়া ১০ দফা দিয়েছেন সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবে। ১০ দফার চেয়ে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা কম নয়। ’৬৯ এর পর বর্তমান সময়ে তারেক জিয়া দিল ১০ দফা। ’৬৯ এ শেখ মুজিব ৬ দফা দিয়ে জাতীয় নেতা হয়েছেন, তারেক জিয়াও ১০ দফা বাস্তবায়ন করে জাতীয় নেতা হবেন। বিএনপি যেই নির্বাচনে অংশ নেবে না, দেশে সেই নির্বাচন হবে না। ১০ দফা দাবি না মানলে আমরা জনগণ সম্পৃক্ত আন্দোলন দেব। এ দাবিগুলো জাতিকে মুক্তির সনদ হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে হটিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হউক, তা এসব দাবির কোথায়ও লেখা নেই। এ সরকার ও পুলিশ হচ্ছে রেডি মিক্স। বিএনপির কাকে কোন ধারায় মামলা দিতে হবে, তা তারা ভাল জানে। আজ দেশের প্রতিটি মন হয়ে আছে আগ্নেগিরি। এর গরম লাভা অনেক ভয়ানক হবে। ওবামার মতো ক্ষমতাধরও দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন। তাহলে আমাদের দেশে ক্ষমতায় থাকার এতো লোভ কেন। দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো। দেশ না বাঁচলে আমরা কেউ বাঁচবো না। তারেক জিয়ার কলিজা আছে। মানুষ আমাদের পাশে আছে, তারা হলো আমাদের বড় শক্তি। দেশ, দল ও নেত্রীকে যদি ভালবাসেন তাহলে ১০ দফার কোন বিকল্প নেই। যুগের দাবি পূরণ করেছেন বিএনপি ও তারেক জিয়া। সাধারণ জনগণ আমাদের এ দাবিগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সোহেল রুশদী, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন। চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্ল্যাহ সেলিমের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শামিম আহমেদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, মুনির চৌধুরী, সেলিমুস সালাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর খান, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নূরুল আমিন খান আকাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান গাজীসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।