জহিরুল ইসলাম জয় :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। বর্ষার চলমান বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কাঁচা রাস্তাগুলিতে গর্ত, খানা, খন্দক, কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিলে ভরে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই সব কাঁচা রাস্তাগুলো।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পদার্পণে দেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, সেখানে ভাবায় যায়না কোন এক গ্রামে আজও বিন্দু পরিমান রাস্তার ঘাটের উন্নয়ন ঘটেনি এখনো!
আশ্চর্য হলেও সত্য হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের ভেতরের ১ইঞ্চি রাস্তা আজ অবধি পাকাকরন হয়ে উঠেনি।
যে গ্রামের নামে দু-দুটি ইউনিয়নের নামকরন করা হয়েছে (৯নং গন্ধর্ব্যপুর উঃ ইউনিয়ন ও ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর দঃ ইউনিয়ন) কিন্তু সে গ্রামের রাস্তা ঘাটের দূর্দশা দেখলে সকলের পিলে চমকে উঠবে!
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গন্ধর্ব্যপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তাগুলি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। শ্যামলী আদর্শ গ্রামের ভেতর আধা কিলো রাস্তা, কবিরাজ বাড়ি হয়ে দীঘির পাড় পর্যন্ত ১ কিলো রাস্তা, কবিরাজ বাড়ি থেকে শোরসাক সীমানা পর্যন্ত দেড় কিলো রাস্তা কাচাঁ। প্রতিদিন এসব কাচাঁ রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরী জীবীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ বিশেষ কাজে হাটবাজারে চলাচল করে আসছে। এমনকি এলাকার অসুস্থ ও মূমুর্ষ রোগিদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় এই রাস্তা গুলি দিয়ে।
বিশেষ করে রাস্তা ঘাটের দুর্দশার কারণে সকলের চলাচল ও যানবাহনের চলাচলের অনেক জটিল সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন “গ্রাম হবে শহর, শহর হবে রাজধানী” এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ফল ৮৫ হাজার গ্রামগঞ্জ পেলেও সেই উন্নয়নের স্বাদ পেয়ে উঠেনি গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের বাসিন্দারা!
গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের নেপাল সরকার, হরিদাস, জলিল মিয়া, কাজলী রাণীসহ এসব ব্যাক্তিরা মত প্রকাশ করে বলেন, আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছিনা কাদাঁর কারনে। এক যায়গা পা দিলে আরেক পা রাখার ব্যবস্থা নেই। আমাদের এ রাস্তাটি দ্রæত পাকা করনের জন্য স্থানীয় এমপি মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সৃদৃষ্টি কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী আরো কয়েকজন বলেন, জনগণকে নানান স্বপ্ন দেখিয়ে নতুন নতুন ওয়ার্ড প্রতিনিধিরা বারবার নির্বাচিত হয়, কিন্ত তাদের দুর্নীতি ও ভোগ বিলাশের কারনেই আজ এই গ্রামের বেহাল দশা। এরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নাম ধারন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কুলন্ঠিত করে, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে ধুলিস্বাৎ করে ঐসব ওয়ার্ড প্রতিনিধিরা জনগনের সেবা, সুবিধা, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন না করে চালাচ্ছে দুর্নীতির মহাউৎসব। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অবহেলিত জনগন।
গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলেটারী বলেন, প্রতিবছর কর্মসৃজন প্রকল্পসহ টিয়ার কাভিটার মাধ্যমে রাস্তা মাটি ফেলে চলাচলের সুযোগ করা হয়েছে। রাস্তার নাম্বার উপজেলা দেওয়া আছে, আগামি অর্থ বছরে পাকা করনের উদ্যাগ গ্রহণ করা হবে।