মালয়েশিয়ান বধূ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি আসলেন চাঁদপুরের সুমন

শরীফুল ইসলাম :
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই তো পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হেলিকপ্টারে চড়ে মালেশিয়ান বধূ ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসলেন সুমন বেপারী নামের এক প্রবাসী। গতকাল শুক্রবার সকালে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার এ আর ফাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করেন তিনি। পরে সুমনের পরিবার তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।

সুমন বেপারী (৩৮) ফরিদগঞ্জ উপজেলার নয়ারহাট চিরকা গ্রামের মৃত মজিবুল হক বেপারীর ছেলে। সুমন এই প্রথম তার স্ত্রী নূর ইনা লিজা, মেয়ে সুফিয়া সারিনা এবং দুই ছেলে ওমর আরাফাত ও আরমান আরিফকে সাথে নিয়ে নিজ গ্রামে ঈদ করতে আসেন।

এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে মালেশিয়ান বধু আসার খবর শুনে শত শত নারী পুরুষ ভিড় করেন। যদিও চাঁদপুর জেলায় বিদেশি বধু নিয়ে বাড়ি ফেরার ঘটনা অহরহ। তবে হেলিহপ্টার নিয়ে বাড়ি ফেরার ঘটনা একেবারেই কম। তাইতো সুমনের বাড়ি আসার খবরে খুশি তার পরিবার।

সুমনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ দিন পর বাড়িতে এসেছে। এবার তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে সাথে নিয়ে এসেছে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার করে আসার খবরে আমরা সকাল থেকে মাঠে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা খুব খুশি। এবার তারা আমাদের সাথে ঈদ করবে।

সুমনের বড় বোন সালমা বেগম বলেন, সুমন মালেশিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছে। সে সেখানে ব্যবসা করতো। পরবর্তীতে মালেশিয়ায় বিয়ে করে। কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাড়ি এসেছে। আমরা খুব খুশি।

সুমনের জেঠাতো ভাই মো. তৈয়েবুল্লাহ বেপারী বলেন, সুমন দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে মালেশিয়ায় অবস্থান করছে। পরে সেখানে বিয়ে করেন। এবার সবার সাথে ঈদ করতে বাড়ি এসেছে। আমরা ফুল নিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। ঈদের পর আবার মালেশিয়া চলে যাবে।

সুমনের স্ত্রী নূর ইনা লিজা বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম এসেছি। সবাইকে দেখে খ্বু ভালো লাগছে।

এ বিষয়ে সুমন বেপারী বলেন, আমি মালেশিয়ায় ব্যবসা করি। সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছি। সকালে বিমান থেকে নেমে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি আসলাম। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা অসুস্থ বিদায় দ্রুত বাড়ি আসার জন্য হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছি। মা ভাই বোনদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি এসেছি। যদিও করোনার কারনে দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারিনি। এবার সবাইকে পেয়ে আমি আনন্দিত।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)