নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রমের সমর্থকদের ওপর বিনা উস্কানিতে কাজী মিজানের কর্মী-সমর্থকদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁদপুর মতলব উত্তরের ৬নং কলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা। বুধবার তিনি ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জের ৫নং ঘাটে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোবহান সরকার বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশকে পুনরায় পাকিস্থান বানাতে চেয়েছিল একটি চক্র। সেই চক্রের মদদদাতা ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কল্যাণে আজ দল ক্ষমতায়। কিন্তু বর্তমানে কৌশলে অনেক বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে। তারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-অত্যাচার করছে। সেই চক্রান্তকারীরা যেন আরেকটি পঁচাত্তর সংঘটনের পাঁয়তারায় লিপ্ত।
সোবহান সরকার অভিযোগ করেন, এমনই একজন চাঁদপুরের রাজাকারের পুত্র কাজী মিজান। গত ২৬ জুন সোবহান সরকার ও তার লোকজনের ওপর কাজী মিজান তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালান। এ সময় তারা গুলি ছোড়েন ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ২০ অনুসারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সোবহান সরকার এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সন্ত্রাসী কাজী মিজান ও তার অনুসারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মতলবের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সজ্জন ও সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে। সেজন্য তিনি এলাকায় গেলে সর্বস্তরের মানুষ তার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেদিনও তার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যেই যাচ্ছিলেন সোবহান চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা। পথে ঘৃণ্য হামলা সন্ত্রাসী কাজী মিজান।
নারায়ণগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন কেন – এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই ঘটনায় আহত অনেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের দেখভালের জন্য হাসপাতালে এসেছেন বলে এখানেই সংবাদ সম্মেলন করছেন।
কাজী মিজান প্রসঙ্গে সোবহান চেয়ারম্যান বলেন, তিনি চাঁদপুর-২-এর বর্তমান সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুলের অনুসারী। কিন্তু একসময় মিজান বিএনপির রাজনীতি করতেন। সুযোগ বুঝে তিনি এখন আওয়ামী লীগের পতাকাতলে। মিজানের বাবা ছিলেন কুখ্যাত রাজাকার। তার এক চাচা বিএনপির আমলে চেয়ারম্যান ছিলেন। তার এক ভাই মতিন কাজী যুবদলের সভাপতি ছিলেন। কাজী মিজান এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জহিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া, মতলব উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দুলাল মেম্বার, উপজেলা যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম, সাইনুল ইসলাম, মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের জহির, রিমন, সাদ্দাম, পিন্টু, শাহীন, জিহাদ হাসান, মোহনপুর যুবলীগ নেতা আমির হোসেন কালু, ওয়াসিম, মতলব উত্তর উপজেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ডিসি মিজান প্রমুখ।